যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে ‘অন্তর্ঘাত’ বলে অভিযোগ করল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দব বিএনপি। তারা রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানের এই ঘটার তদন্তের দাবি করেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত হয়েছে। এই নাশকতার একটি ‘পূর্ব পরিকল্পিত’ কাজ বলে অভিহিত করা হয় বিএনপি।
শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী শহর বেনাপোল থেকে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্রেনের প্রায় ২৯২ জন যাত্রীর অধিকাংশই ভারত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার জানিয়েছেন, ট্রেনের পুড়ে যাওয়া বগি থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বেনাপোল থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুষ্কৃতীরা যে অগ্নিসংযোগ করেছে। এই ফলে কয়েকজন মারা গিয়েছেন। এটি একটি ‘হৃদয়বিদারক ঘটনায়’।
ডেইলি স্টার পত্রিকা রিজভীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন যে একটি নাশকতামূলক তাতে কোনও সন্দেহ নেই"।
(পডুন। বাংলাদেশের গোপীবাগে আগুন ধরানো হল বেনাপোল এক্সপ্রেসে, নিহত ৫ জনের মধ্যে আছে শিশুরাও)
তিনি একে, ‘মানবতার বিরুদ্ধে অমানবিক নৃশংস নৃশংসতা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এই ঘটনার জন্য রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
রিজভী বলেছেন যে ঘটনাটি ‘পূর্ব পরিকল্পিত’ এবং অবিলম্বে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অগ্নিকাণ্ড নাশকতার কাজ কিনা তা তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন। এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ভারতের তিনজনসহ শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক ঢাকায় পৌঁছেছেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সাধারণ নির্বাচন বয়কট করছে। তারা নির্বাচন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের নেতৃত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের অধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে ভারতের নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছেছে এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশ থেকে আরও ১২২ জন এখানে আসবেন। রাষ্ট্রসংঘও বলেছে এই নির্বাচন তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।