বাংলার মাটি থেকে প্রাপ্ত অপরিশোধিত তেল আন্তর্জাতিক মানের। আজ, সোমবার রাজ্যসভায় লিখিত উত্তরে এমনটাই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। এদিন এই রাজ্য থেকে পাওয়া অপরিশোধিত তেলের গুণমান এবং সম্ভাবনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য জওহর সরকারের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের ব্রেন্ট ক্রুড তেলের মধ্যাকর্ষণ আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (এপিআই) অনুযায়ী ৪০–৪১°। সেক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকায় পাওয়া অপরিশোধিত তেল হালকা জাতের। তাছাড়া এটি প্রায় বম্বে হাই এবং আন্তর্জাতিক ব্রেন্ট ক্রুডের মানদণ্ডের মতো।’ এই মন্তব্য বাংলার পক্ষে অবশ্যই সুখ্যাতির।
এদিকে এই তেলের খবর আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু তা কেমন, সেটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়নি। এবার মন্ত্রী বলেন, ‘এই তেল আবিষ্কারের পর সেটা অনুসন্ধান এবং মূল্যায়নের জন্য ওএনজিসি’র মতো খনিজ তেল শোধনকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই সেখানে দুটি কূপ খনন করেছে।’ এই বিষয়ে মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি আরও বলেন, ‘যদিও এখানের প্রথম কূপটি পরিত্যক্ত হয়েছে। আর দ্বিতীয় কূপটি অনুসন্ধান ও মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে। বেশি করে মূল্যায়নের প্রয়োজনে সেখানে আরও দুটি কূপ খনন করা হয়েছে। এমনকী ইতিমধ্যে অশোকনগর–২ এবং কঙ্কপুল–১–এর এই দুটি কূপের উৎপাদনশীলতা পরীক্ষাও সম্পূর্ণ হয়েছে।’
অন্যদিকে বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে কয়লা খনি গড়ে উঠছে। তার মধ্যে বাংলায় এই তেল মেলায় বাড়তি সংযোজন হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘এই তেলের অর্থনৈতিক দিক খুঁজে পাওয়ার জন্য আরও বিশদে তার তথ্য বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও কিছু অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। যেমন—ফিল্ড ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (এফডিপি), কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার দ্বারা পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ (পিএমএল)। এমনকী তেল ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য সাধারণত তিন থেকে চার বছরের সময় লাগে।’
আরও পড়ুন: বজবজ লোকালের সিটের নীচে বস্তাবন্দি গোখরো, ৬টি সাপ দেখে আতঙ্কিত যাত্রীরা
প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর। এটাই এই রাজ্যের প্রথম তেল ক্ষেত্র। ২০০৮ সালে ওএনজিসি জানায়, ২০০৯ সালে এখানে প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছিল। ওই বছরেই ওএনজিসি’কে ওই তেল ক্ষেত্র অনুসন্ধাণের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওএনজিসি এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডকে ২০০৯ সালে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল।