ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে একাধিক নাম উঠে আসতে শুরু করে দিয়েছে। তারই মধ্যে অন্যতম হলেন ঋষি সুনাক। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই তথা ব্রিটেনের উজ্জ্বল রাজনীতিবিদ ঋষি সুনাক ইতিমধ্যেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নিজের দাবিদারি পেশ করেছেন। আর সেই ঋষি সুনাককেই না পসন্দ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের।
বরিস জনসন কিছুদিন আগেই ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের মধ্যেই প্রবল অস্বস্তির মধ্যে পড়ে যান। প্রবল বিরোধিতা ধেয়ে আসে শাসকদলের অন্দরেই। বিরোধিতার মুখে পড়ে যান বরিস জনসন নিজে। মূলত ব্রিটেনের অর্থ দফতরের প্রধান ঋষি সুনাকের বিদ্রোহের জেরেই পদ ছাড়তে বাধ্য হন বরিস জনসন। এবার ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিসই বলছেন, আর যেই হোক ঋষি সুনাক যেন ব্রিটেনের তখতে না বসেন। একথা বরিস তাঁর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে বলেছেন বলে খবর।
এককালে বরিসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ঋষির বিদ্রোহের পর থেকেই এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতের ওপর বেজায় চটে রয়েছেন বরিস। ব্রিটেনের শাসকদলের মধ্যে সেই কোন্দল স্পষ্ট হচ্ছে বারবার।আপাতত ব্রিটেনের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে রয়েছেন বরিস। তবে ঋষি নন, প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে বরিসের প্রথম পছন্দ লিজ ট্রাই। ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি আপাতত বরিস-ঋষি সংঘাতে বড়সড় ফাটলের মুখে রয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন বরিস জনসন। সেবার কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিশ্রুতি ছিল ব্রেক্সিটের বাস্তবায়ন। পরবর্তীকালে একাধিক দুর্নীতি ঘিরে পর পর বিতর্কে জড়ান বরিস জনসন। তখন তাঁর পরম স্নেহধন্য ছিলেন ঋষি। যদিও পরবর্তীকালে সম্পর্কে চিড় ধরে বিতর্কের হাত ধরে। এদিকে, জানা গিয়েছে, ঋষি বাদে যে সমস্ত প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদারকে বরিসের পছন্দ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, জেকব রিজ -মগ, নাদিন ডোরিস, পেনি মরডান্টরা। তবে সুনাককে, বরিস ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে দেখতে একেবারেই চান না। এমনই দাবি বরিসের ঘনিষ্ঠ সূত্রের। এক সংবাদপত্রের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, যে ‘গোটা ১০নম্বর (ডাউনিং স্ট্রিট) বিদ্বেষ করে ঋষিকে।’ এও বলা হচ্ছে যে বহুদিন ধরে ঋষি এই পরিকল্পনা করে এসেছেন। ফলে ক্ষোভ রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূতের বিরুদ্ধে।