অপুষ্টি এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের শিকার জনসংখ্যার একটি বড় অংশ। তাঁদের জন্য ভালো মানের চাল(ফর্টিফায়েড রাইস) সরবরাহ করতে চায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার, সরকার-চালিত খাদ্য প্রকল্পের মাধ্যমে চালিত এমনই এক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে মিলেছে এমনই খবর।
ফর্টিফায়েড রাইস কী? ধান থেকে চাল তৈরির সময় বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বাদ চলে যায় চালের থেকে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেই ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ ফেরানো হয় চালে। এই পদ্ধতিকে ‘ফর্টিফিকেশন’ বলা হয়। ‘ফর্টিফায়েড রাইস’-এর ভাতে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে। আলাদা করে তাতে আয়োডিন, ভিটামিন বি-১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন যোগ করা হয়।
২০২১ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র সরকার আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (PDS) এবং স্কুলের মিড-ডে মিল প্রোগ্রামের অধীনে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্যের মতো স্কিমতে জোয়ার আনবে। এই প্রকল্পগুলির অধীনে ভালো মানের চাল বিতরণ করা হবে।
এই কর্মসূচীতে সরকারের প্রায় ২,৭০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। কেন্দ্র শুক্রবার এই কর্মসূচী সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
স্কুলছাত্র এবং মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত চাল সরবরাহের জন্য একটি ফেডারেল প্রোগ্রাম ইতিমধ্যেই পাঁচটি রাজ্যের 15টি জেলায় পাইলট হিসাবে চালানো হচ্ছে৷ এই রাজ্যগুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং ছত্তিশগড়। পাইলট প্রকল্পের জন্য প্রতিটি রাজ্যে একটি জেলা বাছাই করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই পাঁচটি রাজ্যের ১৫টি জেলায় এ হেন পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে। স্কুলছাত্র এবং মহিলাদের ভালো মানের চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং ছত্তিশগড় থেকে ৩টি করে জেলা বেছে নেওয়া হয়।
দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও, বিপুল সংখ্যক শিশু এবং মহিলা এখনও ক্ষুধা ও অপুষ্টির শিকার। 'ফর্টিফাইড রাইস প্রোগ্রাম'-এর অধীনে মূলত দু'টি প্রকল্পে কাজ করতে হবে। মিড-ডে মিল স্কিমের মাধ্যমে স্কুলছাত্রদের পুষ্টি প্রদান করা হবে। অন্যদিকে দেশব্যাপী অঙ্গনওয়াড়ি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শিশু ও মহিলাদের ভালো মানের চাল প্রদান করা হবে।