সদ্য ইউকো ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ‘ভুলবশত’ চলে যায় (ক্রেডিট হয়) ৮২০ কোটি টাকা। আর তা গিয়েছে আইএমপিএসের মাধ্যমে। ঘটনার পরই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এই সূত্র ধরে সিবিআই ১৩ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত এই তল্লাশি অভিযান চলেছে বলে খবর। কলকাতা, ম্যাঙ্গালোর সমেত দেশের ১৩ টি জায়গায় এই ইস্যুতে খোঁজ খবর শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
এদিকে, অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কাছে এই ৮২০ কোটি টাকার অঙ্ক যাওয়া নিয়ে ইউকো ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশের কাছে আসে অভিযোগ। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। ব্যাঙ্কের অভিযোগ দু'জন সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার ও বাকি কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কের তরফে মুখপাত্র বলছেন, আচমকা রাতারাতি ৮২০ কোটি টাকা সন্দেহজনকভাবে চলে গিয়েছে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের হাতে। চলতি বছরের ১০ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে যায়। ইমিডিয়েট পেমেন্ট সার্ভিস বা আইএমপিএসের মাধ্যমে এই টাকা চলে যায় অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কাছে। এদিকে, ইউকো ব্যাঙ্কের এফআইআর পেয়েই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে কোনও চক্র রয়েছে, নাকি কোনও ব্যাক্তি জড়িত, নাকি নিছকই একটি ‘ভুল’এর জেরেই ব্যাঙ্কে এই ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
নথি বলছে, গত ১০ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে ইউকো ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার গ্রাহকের কাছে যে ৮২০ কোটি টাকা গিয়েছে , তা ব্যাঙ্কেরই ১৪ হাজার গ্রাহকের। এই ঘটনা কীভাবে সম্ভব হল, তা খতিয়ে দেখতেই এই তদন্ত সিবিআইয়ের। এই গোটা ঘটনা ঘিরে তদন্তে সিবিআই। এদিকে, এই পরিমাণ টাকা ক্রেডিট-এর তথ্য অ্যাকাউন্টে দেখানো হয়। যদিও ব্যাঙ্কের নথিতে তা ‘ফেইলড ট্রানজাকশান’ হিসাবে দেখানো হয়েছে। এদকি,ভুলবশত চলে যাওয়া টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেন বহু ইউকো ব্যাঙ্ক গ্রাহক। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই তল্লাশি গোটা পরিস্থিতিকে কোন দিকে নিয়ে যায়, সেদিকে তাকিয়ে অনেকেই। যে টাকা ইউকো ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার গ্রাহকদের কাছে ভুলবশত গিয়েছে, তা ইউকো ব্যাঙ্কের গত অর্থবর্ষের মুনাফার ৪৪ শতাংশ। ঘটনার পর পরই ব্যাঙ্কের আইমপিএস পরিষেবা বন্ধ করা হয়।