আব্রাহাম থমাস
একে তো নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একেবারে জড়িয়ে গিয়েছে সরকার। এবার পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আসলে গত এপ্রিল মাসেই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে জানিয়েছিল আপনারা পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চালিয়ে যান। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকারের তরফে সিবিআই আটকানোর জন্য কার্যত মরিয়া চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর তারা হস্তক্ষেপ করবে না।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ২১ এপ্রিলের কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করার জন্য রাজ্য় সরকার যে আবেদন করেছিল সেটাকে কার্যত বাতিল করে দেন।
তিনি জানিয়েছেন, দুটি কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রেই একটি কোম্পানিকে কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। তারাই ওএমআর শিট তৈরি করেছেন। আমরা এটা বলতে পারি না যে দ্বিতীয় তদন্তের সঙ্গে প্রথমটি যুক্ত নয়। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশে কোনও ত্রুটি নেই বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্টের উপর নির্ভর করে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। দেখা যাচ্ছে যারা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তারাই আবার পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। একটা এফআইআর করার পর্যায়ে একজন বিচারপতির আর কী প্রয়োজন থাকতে পারে।
অ্য়াডভোকেট কপিল সিব্বল রাজ্য সরকারের পক্ষে ছিলেন। তিনি জানিয়েছে, হাইকোর্টের অর্ডার ঠিক নয়, কারণ রাজ্য সরকারকে বাইপাস করে এটা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশ এই তদন্ত কেন করতে পারবে না তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি।
তিনি আদালতে জানিয়েছেন, তদন্ত করার জন্য আদালতের কাছে কোনও উপকরণ ছিল না। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি। আর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ করে আসলে রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আসলে রাজ্য সরকারকে বাইপাস করার একটা চক্রান্ত।
তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট যে দুটি তদন্ত একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। আমরা হাইকোর্টের অর্ডারের পাশে রয়েছি। এই ধরনের অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের উপকরণের কিছু অভাব ছিল এটা কি আমরা বলতে পারি?
অ্যাডিশনার সলিসিটর জেনারেল দুটি মামলাই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। দুটি পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই কোম্পানি ওএমআর শিট ছাপিয়েছে।