লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা তুঙ্গে। ঠিক সেই মুহূর্তে অস্বস্তিতে পড়লেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর কন্যা টি বীণার মালিকানাধীন আইটি কোম্পানি এক্সালজিকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। বেআইনি অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরফলে স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে কেরলের সিপিএম পরিচালিত সরকার। এই ঘটনাই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে BJP-র ‘বি টিম’, ৩ রাজ্যে হারে কংগ্রেসের ‘একগুঁয়ে’ মনোভাবই দায়ী: বিজয়ন
অভিযোগ, একটি বালি খনিজ খনির কোম্পানি সিএমআরএলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিতে এক্সালজিককে অবৈধভাবে ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে। সেই ঘটনায় তদন্তের জন্য কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের আধিকারিক এবং তিন সদস্যের উচ্চ পদস্থ দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দলকে ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এই দলে রয়েছেন কর্ণাটকের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ বরুণ বিএস, চেন্নাইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম শঙ্করা নারায়ণন এবং পুদুচেরী রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ (আরওসি) এ গোকুলনাথ।
প্রাথমিকভাবে সিএমআরএল একটি সরকারি সংস্থা। এক্সালজিক কোনও পরিষেবা প্রদান না করেই সিএমআরএল থেকে মাসিক অর্থপ্রদান হিসাবে কোটি টাকা পেয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিএমআরএল জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই অর্থপ্রদান নিয়ে পর্যাপ্ত যুক্তি দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এবং সিপিএমের যুক্তি, যে এক্সালজিককে পরিষেবার জন্য সিএমআরএল অর্থ প্রদান করেছিল। তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিজয়ন এবং তাঁর দল দোষী প্রমাণিত হলে সেক্ষেত্রে অন্য সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হবে।এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই বিরোধী কংগ্রেস এ বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। যদিও সিপিএম এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সিপিএম সূত্রের অভিযোগ, কেন্দ্র রাজনৈতিক স্বার্থ ও সুবিধার জন্য তাদের সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই সংস্থাগুলিকে দিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে বিরোধী দলগুলিকে।