সুপ্রিম কোর্টকে এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিডের ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যবাধ্যকতা নেই। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোনও মৃত্যু হয়ে তার জন্য দায়ী সরকার নয়। কেন্দ্র জানিয়েছে, সরকার শুধু জনস্বার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে উৎসাহ প্রদান করছে।
উল্লেখ্য, ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এক বালিকার মৃত্যু ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা যায়। সেই মামলার নিরিখে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছে, এই মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক, তবে তাতে সরকারকে দোষী ঠাওরানো যাবে না। কেন্দ্রের তরফে দায়ের করা ২৩ নভেম্বরের হলফনামায় জানানো হয়, ‘যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার জোরদারভাবে উৎসাহ দিচ্ছে সমস্ত যোগ্য ব্যক্তিত্বকে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে, সেখানে এটাও জানানো হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যতা নেই।’ উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত মৃত্যু ঘিরে ওই মামলার নিরিখে, গত ২৯ অগস্ট কেন্দ্রকে একটি নোটিস পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। এই মৃত্যুতে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গড়ে তার দ্বারা তদন্তের কথা বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে অটোপসির রিপোর্টও পেশ করতে বলে আদালত।
এই মামলার আর্জিতে দাবি করা হয়েছে যে, ভ্যাকসিনের জেরে ওই বালিকার মৃত্যপর ঘটনায় যেন তার বাবা মাকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়। এছাড়াও ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রক্রিয়ায় অসুস্থতা ঘিরে সরকারের গাইডলাইনও সামনে আনার দাবি করা হয়েছে মামলায়। তার উত্তরে কেন্দ্র বলছে, AEFIএর তথ্য অনুযায়ী, মেডিসিনের মতো সমস্ত ভ্যাকসিনেরও কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে গ্রহীতার কাছে এমন অপশনও রয়েছে যেখানে তিনি ভ্যাকসিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ খোঁজ নিয়েতা গ্রহণ করতে পারেন। এবিষে চিকিৎসকের পরামর্শের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র বলছে, কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত তথ্য জনতার মাধেই ‘পাবলিক ডোমেনে’ রয়েছে। প্রসঙ্গত, কেরল হাইকোর্ট সদ্য ভ্যাকসিন সংক্রান্ত মৃত্যু নিয়ে মৃেতর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে এনডিএমএকে গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে চলছে এই বিশেষ মামলা।