সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ তথা কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের মৃত্যুর পর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে জাতীয় ও উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। আতিক আহমেদকে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্য়েই গুলি করে খুন করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। বিরোধীরা এই আবহে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও এই 'গাফিলতি'তে রাজনৈতিক ফায়দা দেখছে বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথের কথায় সে ইঙ্গিতও মিলেছে। এরই মাঝে অবশ্য সম্প্রতি বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনায় আতিকের পক্ষে সোলান তুলতে দেখা গিয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবার নিদান দিলেন, আতিক আহমেদের পক্ষে কেউ স্লোগান তুললেই সেই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পক্ষে স্লোগান দেওয়ার ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং এই ধরনের লোকেদের 'দেখতেই গুলি করা উচিত' বলে মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই বিহারের পটনায় এক মসজিদের সামনে আতিকের সমর্থনে স্লোগান ওঠে। আতিক, আশরাফকে 'শহিদ' আখ্যা দিয়ে যোগী, মোদীর নামে কুরুচিকর স্লোগানও তোলা হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল অশ্বিনীর। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এবং এটা আরও দুঃখজনক এই কারণে যে বিহারে এই ধরনের বক্তব্য ও স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের লোকদের দেখামাত্র গুলি করা উচিত।' এদিকে আতিকের কবরে জাতীয় পতাকা রেখে বিতর্কে জড়িয়েছেন এক কংগ্রেস নেতাও। প্রাক্তন সমাজবাদী পার্টি সাংসদ 'শহিদ' আখ্যা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাজকুমার সিং রাজ্জু। এই ঘটনার পরই পুলিশ রাজকুমারকের গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আতিকের ছেলে আসাদ আহমেদের মৃত্যু হয়েছিল এক এনকাউন্টারে। ছেলের শেষযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আতিক আবেদন জানালেও তাঁকে ছাড়া হয়নি। এই আবহে ছেলের শেষকৃত্যের দিন রাত ১০টা নাগাদ আতিককে প্রয়াগরাজের এক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য। সেখানেই গাড়ি থেকে নামার পর আতিককে ঘিরে ধরেছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁর ছেলের শেষযাত্রায় না যেতে পারা নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছিল আতিককে। প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও কয়েক পা যাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে শুরু করেছিলেন আতিক। কিছু কথা বলার পরই আচমকা আতিকের বাঁদিক থেকে এক বন্দুকধারী এসে মাথায় 'পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে' গুলি করে তাঁকে। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আতিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ পুলিশকর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।