দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শোরগোল। ব্রিটেনের পাবলিক ব্রডকাসটার বিবিসির এই তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব ইউটিউব চ্যানেলে এসেছিল। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশে ইউটিউবকে ওই পর্বের ভিডিয়ো ব্লক করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত টুইট ব্লক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য সূত্র মারফৎ প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এর সম্পর্কে আসেনি।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এই তথ্যচিত্র ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে তথ্যচিত্রে পেশ করা ‘চরিত্রায়ণ’কে তিনি সমর্থন করেন না।
বিতর্কে ঝড় এসে পৌঁছয় ভারতের মাটিতেও। এই তথ্যচিত্রের প্রথম পর্বের ভিডিয়ো যেমন ইউটিউবে আসে তেমনই তা নিয়ে প্রায় ৫০ টি টুইটও টুইটারে প্রকট হতে থাকে নেটিজেনদের মধ্যে। সূত্রের দাবি, ইউটিউবকে ওই ভিডিয়ো ব্লক করতে বলার পাশাপাশি কেন্দ্র টুইটারকেও টুইটগুলি ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লির তরফে ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে মুখ খোলে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এটি একটি প্রচারধর্মী ভিডিয়ো। সূত্রের দাবি, বিদেশমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখেছে। সেখানে তাঁরা মনে করছে, এই তথ্যচিত্র ভারতের সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। দিল্লি এই তথ্য চিত্র নিয়ে সাফ জানিয়েছে, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে এই তথ্যচিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, এই তথ্যচিত্র ভারতে ইউটিউবে নেই। তবে কিছু ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারধর্মী উদ্দেশে এই ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২১ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বিশেষ ক্ষমতাবলে কেন্দ্রের তরফে এই ভিডিয়োকে ব্লক ও টুইটগুলিকে ব্লক করার কথা বলা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup