দক্ষিণ আফ্রিকা, বত্সোয়ানা এবং হংকঙে নয়া করোনাভাইরাস প্রজাতির হদিশ মিলেছে। তা নিয়ে সব রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবারের চিঠিতে জানানো হয়েছে, যে যাত্রীরা ওই তিন দেশ থেকে আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। জোর দিতে হবে নজরদারি এবং পরীক্ষায়। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার একটি নয়া প্রজাতির হদিশ মিলেছে। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে জানানো হয়েছে, বি.১.১.৫২৯ প্রজাতিতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। যে প্রজাতির করোনাভাইরাসের বিষয়ে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ভাইরোলজিস্ট টম পিকক দাবি করেছেন, ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় যথেষ্ট মাত্রায় সেই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়া বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছ'জন। বত্সোয়ানা এবং হংকঙে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে তিন এবং এক। সেই পরিস্থিতিতে ওই তিন দেশ থেকে যে যাত্রীরা আসবেন, তাঁদের উপর জোরদার নজরদারি চালাতে হবে। করতে হবে পরীক্ষা। তাঁদের সংস্পর্শে এসে যে যে ব্যক্তিরা আসবেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী তাঁদের উপরও নজরদারি চালাতে হবে। সেইসঙ্গে গত ১১ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে যে যে দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখা হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও একইরকমভাবে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।