সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের বিষয়টি বজায় রাখার জন্য সম্প্রতি রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই এনিয়ে কড়া মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রোহিনতন নরিম্য়ান। বিচারপতি নরিম্য়ান জানিয়েছেন, এই রায়টি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে।
বিচারপতি নরিম্যান জানিয়েছেন, সাংবিধানিক ব্যবস্থা যখন ভেঙে পড়ে তখন ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হয়। কেন্দ্র তখন এর ব্যবস্থাপনা করে। …এইসবকে পাশ কাটিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে ফেলল। কিন্তু আপনি কীভাবে ৩৫৬ ধারাকে বাইপাস করতে পারেন? আপনি এটা বাইপাস করলেন এইভাবে যে এটাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে ফেললেন। এর ফলে যেটা হবে সেখানে সরাসরি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সেখানে আর সময়সীমার কোনও ব্যাপার থাকল না। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।
অর্থাৎ সরাসরি ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ না করে রাজ্যকে করে ফেলা হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ঘুরিয়ে এভাবেই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে আনা হল। কার্যত এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রাক্তন বিচারপতি জানিয়েছেন, আপনারা বললেন, আমরা কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারব না। কিন্তু আপনারা এই অসাংবিধানিক বিষয়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য় এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মতি দিলেন।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, সলিসিটর জেনারেলের কোনও এক্তিয়ার নেই আগামী সরকারকে বেঁধে রাখার। আগামী বছর মে মাস থেকে আমাদের পরবর্তী সরকার আসবে।
আসলে ৩০ তম Bansari Sheth Endowment Lecture, The Constitution of India: Checks and Balances শীর্ষক একটি লেকচারে অংশ নেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা নিয়ে রায়ের পাশাপাশি আরও তিনটি বিরক্তিকর বিষয় সাম্প্রতিক অতীতে হয়েছে। সেটা হল বিবিসি অফিসে আয়কর হানা, নির্বাচম কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন, কেরলের রাজ্যপাল সংক্রান্ত ব্যাপার।
বিবিসির অফিসে অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, চলতি বছরে দুটি তথ্যচিত্র হয়েছিল। একটিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীর প্রসঙ্গ ছিল। পরে সেই তথ্য়চিত্র নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর হয়রানি করার জন্য় বিবিসির অফিসে আয়কর হানা হয়।