ভারতকে কূটনৈতিক চাপে রাখতে এবার নেপালকে হাতিয়ার করে নিজের স্ট্র্যাটেজি সাজাতে শুরু করে দিল চিন। সূত্রের খবর, নেপালের অন্তর্গত যে সমস্ত জায়গা ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি, সেখানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে আরও সক্রিয়তা, চিনা ভাষার প্রশিক্ষণে অগ্রগতি ও রেডিওর মাধ্যমে অ্যাজেন্ডা সেট করে চিরাচরিতভাবে নিজের স্ট্র্যাটেজিতে এগিয়ে চলেছে চিন।
সূত্রের দাবি, চিন আপাতত নেপালের বেশ কিছু এলাকাকে নিজের আওতায় করার লক্ষ্যেও নানান ঘুঁটি সাজিয়ে চলেছে। জানা যাচ্ছে, নেপালের সাতটি জায়গায় আপাতত চিন কবজা করার লক্ষ্যে রয়েছে, আর সেখানে ভারত বিরোধিতার বীজ বপন করে চলেছে। চিনের নানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া, সোশ্যাল সেক্টার, পর্যটন এই সমস্ত জায়গায় দেখা যাচ্ছে চিন নিজের দাপট ধরে রাখছে।
দেখা যাচ্ছে, ধিরে ধিরে নেপালের বহু স্কুলে চিনা ভাষা পাঠ্যক্রমের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এছাড়াও অ্যাজেন্ডা সেটিংয়ের মাধ্যমে নেপালের মিডিয়ার মুখে বহু ক্ষেত্রে চিনার স্তুতি উঠে আসছে। পাশাপাশি, ভারত বিরোধিতাও সেখানে চাগাড় দিচ্ছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাত ধরে নেপাল সীমান্ত বরাবর চিনের ভালো কাজের প্রশংসা যাতে ছড়ায় তার বন্দোবস্তে ব্রতী রয়েছে বেজিং। পাশাপাশি দিল্লির প্রতি জনমানষে ক্ষোভ ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বহু কর্মকাণ্ড চলছে বলেও সূত্রের দাবি। বিশ্বের নানান ক্ষেত্রে চিনের সুপ্রভাব ও ভালো পদক্ষেপের তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নেপালের মিডিয়ার মাধ্যমে।
এখানেই শেষ নয়, ভারতের সঙ্গ নেপালের যে সমীন্ত রয়েছে,সেখানে ধিরে ধিরে আস্তানা গাড়ছে চিনা প্রভাব। সেখানে বহু চিনা এনজিও নিজের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। যা ঘিরে সন্দেহের নজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। মনে করা হচ্ছে, সেখানে থেকে তিব্বতে খানিকটা নজরদারি করা হচ্ছে, আর যাবতীয় তথ্য বেজিংকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও নেপালের দোলখা, গোরখা, গরচুলা, সিন্ধুপালচকে চিনের প্রভাব বাড়ছে। এছাড়াও চিনের পোখরার মতো জায়গায় চিনা পর্যটকের সমাগম বাড়তে থাকায়, সেখানে চিনা খাওয়া দাওয়া ও সংস্কৃতির প্রভাব বাড়ছে। সব মিলিয়ে সাম্রাজ্য বিস্তারে আগ্রাসী চিনের নেপালের ওপর এই কর্মকাণ্ডকে ঘিরে চড়ছে জল্পনার পারদ।