করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার বাংলাদেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল চিন।ভ্যাকসিনের ঘাটতি মেটাতে এবার বাংলাদেশকে ৫ লাখ সিনোফ্রাম ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠিয়েছে বেজিং। ভারত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা দেয়।এবার সেই ঘাটতি মেটাতেই চিন এবার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে ঢাকায়।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনের তৈরি এই ভ্যাকসিনটি সারা বিশ্বে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অনুমোদন থাকায় বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিনটি দেশে ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে। বুধবার ঢাকায় সরকারিভাবে এই ভ্যাকসিনগুলিকে বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেন চিনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
ভারত থেকে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ৭০ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী জুনের মধ্যে আরও ৩ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পাঠানোর কথা সেরামের ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার। ভারত নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে বাংলাদেশে এখন ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ প্রশাসন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। তবে দ্বিতীয় ডোজ যাদের পাওয়ার কথা, তাঁদের বেশিরভাগেরই হয়ে গিয়েছে। কয়েক হাজারের মতো বাকি আছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আমেরিকা, ভারত-সহ চার দেশের কোয়াডে যাতে বাংলাদেশ যোগ না দেয়, সেজন্য দিনকয়েক আগেই ঢাকাকে হুমকি দিয়েছিল চিন। তারপরই ‘উপহার’ হিসেবে টিকা পাঠিয়েছে বেজিং। যে টিকা শুরুর দিকে নিতে ইচ্ছুক ছিল না। তবে সেই টিকা পাকিস্তানকে দিয়েছিল চিন।