অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে আবার ভারতকে চাপে রাখার কৌশল নিল চিন। এবার তিব্বতে অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের কাছে রেল পরিষেবা চালু করছে চিন। জুন মাসের শেষে লাসা থেকে নিংচির মধ্যে হাইস্পিড রেল চালু হচ্ছে। ৪৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হাইস্পিড রেল করিডর তিব্বতে এই প্রথম চালু হচ্ছে। সম্প্রতি চিন পার্লামেন্টের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই সম্মেলনের ফাঁকেই নতুন এই রেল পরিষেবা চালুর কথা জানান চিন স্টেট রেলওয়ে গ্রুপ কোম্পানির চেয়ারপার্সন লু ডোংফু।
উল্লেখ্য, নিংচি হল এমন একটা জায়গা যা অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে চিনের নয়া উদ্যোগের দিকে ভারতের নজর যে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। গত নভেম্বর মাসে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিব্বতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে রেল প্রকল্পের কাজে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। চিনা প্রেসিডেন্ট ইয়ান থেকে নাংচি রেল প্রকল্পের কাজে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, এই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে সিচুয়ান প্রদেশ ও তিব্বতে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। চিনা সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হাইস্পিড রেল পরিষেবায় ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন ছুটবে। চিনে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত ৩৭৫০০ কিলোমিটার হাইস্পিড রেল পরিষেবা আছে। তা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ হাজার কিলোমিটার করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। চিনা সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, চিন তিব্বতের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার প্যাসেজ ওয়ে তৈরির পরিকল্পনাও নিচ্ছে। এক্ষেত্রে তিব্বতের প্রশাসনকে সাহায্যও করবে চিন। চিন তার ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী প্যাসেজওয়ে তৈরির ব্যাপারে বিশেষ জোর দিচ্ছে।