আমাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করুন ও সীমান্ত সম্পর্কিত যে সমস্যাগুলি রয়েছে তা যত দ্রুত সম্ভব মিটিয়ে ফেলুন। ভূটানকে জানিয়ে দিল চিন। সেই সঙ্গে প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ককে আইনগত সিদ্ধ করার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ভূটানের বিদেশমন্ত্রী ডঃ টান্ডি দোর্জি বর্তমানে বর্তমানে বেজিং সফরে গিয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলি রয়েছে তা মেটানো নিয়ে কথাবার্তা বলতেো তিনি চিনে গিয়েছেন বলে খবর। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াইয়ের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।
ওয়াং জানিয়েছেন, সীমান্ত সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে আসা, চিন ও ভূটানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে বজায় রাখা এটা ভূটানের দীর্ঘকালীন ও মৌলিক স্বার্থকে রক্ষা করবে।
এদিকে ভূটানের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, চিন ভূটানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। চিন ও ভূটানের মধ্য়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আইনসিদ্ধ করার কাজটা দ্রুত করতে হবে। প্রসঙ্গত দোর্জি শুধু ভূটানের বিদেশমন্ত্রীই নন, তিনি ভূটানের শাসন ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট পার্টিরও সদস্য। প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, চিন ও ভূটানের মধ্য়ে সীমান্ত সংক্রান্ত ব্যাপারে কথা বলার জন্য ভূটানের বিদেশমন্ত্রী চিনে গিয়েছেন।
সেই সঙ্গেই চিনের বিদেশমন্ত্রকের প্রেস রিলিজে ভূটানের বিদেশমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে উল্লেখ করা হয়েছে, ভূটান ও চিনের মধ্যে একটা ঐতিহ্যপূর্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সহায়তার জন্য চিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে ওই প্রেস রিলিজে দাবি করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
এদিকে ভূটান আবার ওয়ান চায়না নীতিতে বিশ্বাসী। মানে তাইওয়ান, তিব্বত সব চিনের মধ্য়ে এই ধারণার পাশে রয়েছে ভূটান। সেই সঙ্গেই ভূটান সীমান্ত সম্পর্কিত বিষয়ে যে জট রয়েছে তা দ্রুত মেটাতে চাইছে। কূটনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে প্রেস রিলিজে।
প্রসঙ্গত চিন ও ভূটানের মধ্যে সেভাবে জোরদার কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু দুই দেশের আধিকারিকরা মাঝেমধ্য়েই অপর দেশে যান। সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ভারতের প্রতিবেশী দেশ ভূটান। সেই ভূটানের সঙ্গেই এবার সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে চিন। তবে সেই প্রসঙ্গেই অনেকের মনে পড়ে যাচ্ছে ডোকালাম ইস্যুর কথা। এখানে ২০১৭ সালে রাস্তাও তৈরি করার চেষ্টা করেছিল চিন। কারণ সেখানে চিনের বাড়বাড়ন্ত হলে শিলিগুড়ির চিকেন নেকের উপর প্রভাব পড়তে পারে।