বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দাপটে অসমের আদি বাসিন্দারা মারাত্মক সমস্য়ায় পড়ছেন। এটা কার্যত মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই সঙ্গেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির জেরে আইনের ভ্য়ালিডিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
পাঁচজন বিচারপতি বেঞ্চ নাগরিকত্ব আইনের ৬ এ ধারা যাচাই করে দেখছেন। তবে একটি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জানিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যেভাবে অসমে প্রবেশ করেছেন তার একটা প্রভাব পড়েছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়েছে। এর জেরে নিঃসন্দেহে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
কিন্তু ১৯৭১ সালের পরে অনুপ্রবেশের ঘটনার জন্য আইনের সারবত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তবে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে অসমের নাগরিকত্ব আইনের ৬ এ ধারার উপভোক্তাদের তালিকা চান বিচারপতি। সিটিজেনশিপ অ্য়াক্টে সেকশন ৬ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট শ্যাম দিভান ও আইনজীবী উদয়াদিত্য বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, অসম অ্য়াকর্ড কিছুটা বৈষম্যমূলক। কারণ এর মাধ্যমে দেশের অন্য় প্রান্তে যারা বসবাস করেন তাঁদের সঙ্গে একটা ফারাক বোঝানো হয়। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জেরে রাজ্য়ের জনসংখ্য়ার ভারসাম্য়টাই বদলে যাচ্ছে। এভাবে অনুপ্রবেশের জেরে অসমের আদি বাসিন্দারা ক্রমে প্রান্তিক জায়গায় চলে যাচ্ছেন। এর জেরে আদালতের কাছে যথেষ্ট পয়েন্ট রয়েছে , যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে কারণে সুপ্রিম কোর্ট অসমের আদি বাসিন্দাদের সুরক্ষিত করতে পারেন।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির জেরে আইনের ভ্য়ালিডিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে না। ১৯৭১ সালের আগে যেটা ছিল সেটার সঙ্গে একটা যোগসূত্র করা হচ্ছে। আর সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছিল একটা মানবিক দিক থেকে। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। আমরা বর্তমানে সেটা আর দেখছি না।