কয়লাকাণ্ডে হাতে আসা ‘প্রমাণের’ ভিত্তিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একাধিক এনফোর্মেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানাল সংবাদসংস্থা পিটিআই। ওই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হবে।
সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের আওতায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বয়ান রেকর্ড করা হবে। কয়লাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে ‘প্রমাণ’ এসেছে, তার ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
ইডি অফিসে হাজিরার আগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিষেক। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) এক্তিয়ার নিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। গত ১১ মার্চ ইডির সমনের বিরুদ্ধে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। অভিষেকদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। মামলাও পশ্চিমবঙ্গের। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের দিল্লিতে ডাকা উচিত নয়। যে কয়লাকাণ্ডে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে ইডির দফতরে প্রায় ন'ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিষেককে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবের পর রবিবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। সেইসময় বলেন, ‘আমি মানুষের ক্ষমতার কাছে মাথা নত করতে রাজি। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা মানুষের কাছে মাথা নত করব না। মাথা উঁচু করেই ইডির দফতরে যাব। ওদের সব প্রশ্নের উত্তর আগেও দিয়েছি, আবারও দেব। যাঁরা রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগান, তাঁদের কাছে মাথা নত করব না।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি দেড় বছর আগেও যা বলেছি, এখনও বলছি, আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও যোগসাজশ বা ১০ পয়সার লেনদেন প্রমাণ করতে পারে, তাহলে ইডি, সিবিআই দিয়ে ডাকতে হবে না। একটি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে দেবেন। আমি নিজে মৃত্যুবরণ করব।’