দেবব্রত মোহান্তি
ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার পরে মাঝে কয়েকটি দিন কেটে গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই টুকরো টুকরো নানা ছবি সামনে আসছে। আবার দৃশ্যের ভিড়ে মিলিয়ে যাচ্ছে সেই সব ছবি। কোনও ছবি কান্নার। কোনটা আবার স্বস্তির।
অসমের কারবি আলং জেলার বাসিন্দা দুলাল মজুমদার ছিলেন ওই অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। দিনমজুরের কাজ করেন তিনি। কিন্তু দুর্ঘটনার পরে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। এরপর ৪ জুন, দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে ছিটকে যাওয়া একটি বগির পাশে ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে থেকে স্থানীয় পুলিশকর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। ৪৮ ঘণ্টা ধরে ওখানেই পড়েছিলেন তিনি। তার কান্নার আওয়াজ শুনে পুলিশকর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। অবশেষে ভুবনেশ্বরের এইমসে সেই ছেলেকে খুঁজে পেলেন বাবা সুভাষ মজুমদার।
তার মাথায় মারাত্মক আঘাত লেগেছে। তবে বর্তমানে তার জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু এখনও কিছুটা বিভ্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন। এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানত না দুলালের পরিবার। অবশেষে এক বন্ধুকে নিয়ে তার বাবা এইমস ভুবনেশ্বরে আসেন।
এইমস ডিরেক্টর আশুতোষ বিশ্বাস মজুমদার জানিয়েছেন, রোগীকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল। তাকে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তিনি এখন কথা বলতে পারছেন।
তবে দুলালকে ফিরে পেয়ে অত্যন্ত খুশি পরিবার। অনেকেই যখন মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায় তখন ভাগ্যবশত বেঁচে গিয়েছেন তিনি। দুদিন ধরে পড়েছিলেন ঝোপের মধ্যে। আসলে জেনারেল কামরা থেকে তিনি ছিটকে গিয়ে পড়েন ঝোপের মধ্য়ে। মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তবে প্রাণটুকু রক্ষা পেয়েছে তাঁর।