লাগামহীন করোনাভাইরাস সংক্রমণ। এই সেকেন্ড ওয়েভের প্রভাব পড়তে পারে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে। ফলে, এর আগের ১২.৫% জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নন অর্থনীতিবিদরা।
একের পর এক রাজ্যে জারি হচ্ছে সাপ্তাহিক লকডাউন-কার্ফু। স্বাস্থ্য পরিষেবাও বেশ চাপে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবর্ষ নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। লকডাউন ওঠার পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু ফের তুঙ্গে সংক্রমণ। ফলে ভবিষ্যৎ যে বেশ ধোঁয়াশায় ঢাকা, তা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ৭.৫% থেকে ১২.৫% হতে পারে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার। অর্থাৎ আগের ১২.৫%-এর পূর্বাভাসের বিষয়ে আর নিশ্চিত নন তাঁরা। পুরোটাই এখন করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।
ক্রিসিল লিমিটেড-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ ডি কে জোশীর কথায়, 'সেকেন্ড ওয়েভের ফলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনার আশা কমছে। এই মুহূর্তে আমাদের ধারণা ১১% বৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু করোনা যেভাবে বাড়ছে, কমার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।'
শুক্রবার একদিনে দেশে ২৩৪,৬৯২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে করোনা মহামারী শুরু হওয়া থেকে এখনও পর্যন্ত এটাই একদিনে সর্বাধিক সংক্রমণ। এর আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুক্রবার সকাল আটটা ২৪ ঘণ্টায় ২,১৭,৩৫৩ জন করোনা আক্রান্ত হন।