হাতে আর মাত্র একদিন। তারপরই ১ মার্চ থেকে শুরু হবে করোনাভাইরাস টিকাকরণের নয়া পর্ব। তবে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের পাশাপাশি আরও কেউ নিতে চাইলে তিনটি পথ রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই তিনটি পথ হল—আগাম রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং সম্মিলিতভাবে টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে নাম তোলা যাবে। এমনকী সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করাই শুধু নয়, বেশ সরল করে দেওয়া হয়েছে কো–উইন পোর্টালে নাম নথিভুক্তিকরণের প্রক্রিয়াও।
এই টিকাকরণের বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলির উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। সেখানে কো–উইন অ্যাপ ২.০, টিকা নিতে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছেন, আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন এবং অন্যান্য সুবিধা সরকারি– বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রাখতে বলা হচ্ছে। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে তা দেওয়া হবে। আর যাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নেবেন, তাঁদের জন্য খরচ বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে।
ষাটোর্ধ্ব ও ৪৫-৫৯ বছরের মানুষদের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে মার্চ মাসের প্রথম দিন থেকে। কো–উইনের পাশাপাশি আরোগ্য সেতু অ্যাপকেও কাজে লাগানোর কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা। এই দফায় ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তৃতীয় পর্যায়ের করোনা টিকাকরণ নিয়ে অবশ্য অ্যাপ–পোর্টালের ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে সরাসরি টিকাকরণ কেন্দ্রে পৌঁছে নাম তোলা ও টিকা নেওয়ার বিকল্পও খুলে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, বেসরকারি হাসপাতালে সিজিএইচএস বা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিম, আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং রাজ্যের যে ব্যবস্থা রয়েছে তা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এমনকী প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন, বিভিন্ন সংস্থা বা সংগঠনকে কাজে না লাগাতে পারলে মাঝপথেই বিরাট হোঁচট খাবে বয়স্কদের টিকাকরণ।