এখন ইন্ডিয়া জোটে নাম লিখিয়েছে সিপিএম। তা নিয়ে ঘরে–বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে বামফ্রন্টের বড় শরিক। এবার নিজেদের পৃথক অস্তিত্বের জানান দিতে আজ, শুক্রবার হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে যাচ্ছে সিপিএমের প্রতিনিধিদল। হিংসার আগুনে এখনও জ্বলছে মণিপুর। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। সহায়–সম্বল ছেড়ে পালাচ্ছেন। না হলে অত্যাচার বাড়ছে। গণধর্ষণের খবর বারবার সামনে আসছে। এর আগেও অন্যান্য দলের নেতা–নেত্রীদের প্রতিনিধিদল মণিপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে বামেদের প্রতিনিধিও ছিল। এবার একক সিপিএম।
কেমন হচ্ছে সিপিএমের সফরসূচি? আজই মণিপুর পরিদর্শনে যাচ্ছে সিপিএমের এক প্রতিনিধিদল। আজ, শুক্রবার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে চারজনের প্রতিনিধিদল মণিপুরে যাচ্ছে। ১৮ তারিখ থেকে ২০ অগস্ট পর্যন্ত মণিপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন সিপিএমের শীর্ষ নেতারা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণিপুর যখন জ্বলছে তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে এসে কেন জবাব দিচ্ছেন না? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন প্রত্যেকটি বিরোধী দল। সেখানে বামেদেরও প্রতিনিধি এবং সমর্থন ছিল। এবারের বাদল অধিবেশন কার্যত অচল হয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে। পরে অবশ্য এসেছিলেন। কিন্তু মণিপুর নিয়ে তেমন কিছু উল্লেখ করেননি।
কারা যাচ্ছেন মণিপুর সফরে? সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও ওই দলে থাকবেন সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, অসম রাজ্য সম্পাদক সুপ্রকাশ তালুকদার এবং বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবলীনা হেমব্রম। জিতেন্দ্র ও দেবলীনা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই এই প্রতিনিধিদলে তাঁদের রাখা হয়েছে। ওখানেও জাতিদাঙ্গা চলছে। তাই তাঁরা বিষয়টি খুব ভালভাবে বুঝতে পারবেন। মণিপুরে পৌঁছে চূড়াচাঁদপুর, মইরাং, ইম্ফলের নানা জায়গায় যাবেন ইয়েচুরির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। একাধিক আশ্রয় শিবিরও ঘুরে দেখবেন তাঁরা। একাধিক সামাজিক সংগঠন এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবার কি র্যাগিংয়ের ঘটনা? মেদিনীপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে
আর কী জানা যাচ্ছে? মে মাস থেকে মণিপুরে জাতিদাঙ্গার ঘটনা ঘটে চলেছে ছোট্ট রাজ্য মণিপুরে। সংসদের বাদল অধিবেশন এই মণিপুর নিয়েই তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অবশেষে লালকেল্লা থেকে সামান্য কিছু বাক্য খরচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা দিবসের দিন তা শুনেছে দেশবাসী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুরের পরিস্থিতি। সিপিএমের আগে মণিপুরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহল গান্ধী। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং সুস্মিতা দেবরাও মণিপুরে গিয়েছিলেন। এবার একক যাচ্ছে সিপিএমের প্রতিনিধিদল।