পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির পর রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসেছিল। গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত দলে নিজেদের পদে বহাল থাকছেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যই। তবে বৈঠকে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ ‘জি ২৩’ গোষ্ঠীর নেতাদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাহুলকে। উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যের ভরাডুবির মাঝে পঞ্জাবে দলের হার সবচেয়ে বেশি করে বিঁধেছে কংগ্রেসকে। এই রাজ্যে সরকারে ছিল কংগ্রেস। কৃষক আন্দোলনের মতো ইস্যু থাকা সত্ত্বেও তা এই রাজ্যে কাজে লাগাতে পারেনি কংগ্রেস। উল্টে এই রাজ্যে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেয়েছে আম আদমি পার্টি। এই বিষয়ে ওযার্কিং কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের দলীয় কোন্দলের জের পঞ্জাবে দলের ভরাডুবি হয়েছে, তা মোটামুটি স্বীকার করেছে কংগ্রেসের সব স্তরের নেতা কর্মীরাই। এরই মাঝে অবশ্য পঞ্জাবে রাহুলের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কংগ্রেসের কোনও পদে না থাকা সত্ত্বেও পঞ্জাবে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেন রাহুল গান্ধী। তার আগে সিধু-ক্যাপ্টেন গৃহযুদ্ধের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরানোর ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এই সব বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে নাকি রাহুল বৈঠকে বলেন, ‘সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল সিধুর জনপ্রিয়তা ছিল ৪৫ শতাংশ এবং ক্যাপ্টেনের জনপ্রিয়তা মাত্র ২ শতাংশ। তাহলে আমরা এই সংখ্যা নিয়ে কি করতাম?’
এদিকে জি ২৩ গোষ্ঠীর গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মা রবিবারের বৈঠকে খুব স্পষ্ট ভাবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। আনন্দ শর্মা এদিন সতর্ক করে দিয়েছেন যে আম আদমি পার্টি পাঞ্জাবের প্রতিবেশী হিমাচল প্রদেশেও কংগ্রেসের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই বছরের শেষের দিকেই হিমাচলে নির্বাচন হওয়ার কথা। এদিকে বৈঠকে আজাদ বলেন, ‘ভোটের ছয় মাস আগে না করে মুখ্যমন্ত্রী অদলবদল চার বছর আগেই করা উচিত ছিল।’ এদিকে আরও এক বিক্ষুব্ধ নেতা মুকুল ওয়াসনিক নাকি বলেন, ‘আমরা যা যা বলি তা দলের হিতেই বলি। কিন্তু সেই কথাগুলিকে দল বিরোধী হিসেবে দেখা হয়।’