কংগ্রেস দল সংবিধানের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। গণতন্ত্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিল কংগ্রেস। আর সেটা রক্ষা করা কংগ্রেসের কর্তব্য। রবিবার হায়দরাবাদে ছিল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সম্প্রারিত বৈঠক। সেখানে এনিয়ে মন্তব্য করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানানোর একটা বড় পথ হল বিজেপিকে তাড়ানো। সাধারণ মানুষের বিরোধী যে নীতি সেগুলিকে সামনে আনার ব্যাপারে আবেদন করেন কংগ্রেসের ওই নেতা। তাঁর মতে নতুন ইস্যুগুলিকে সামনে এনে মোদী সরকার রাজনীতি করছে। আসল ইস্যু থেকে মুখ ঘুরিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার।
রবিবারের মিটিংয়ে কংগ্রেসের মুখ্য়মন্ত্রীরা বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে দলের নীতি কী হবে সেব্যাপারেও জানানো হয়েছে।
কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, কংগ্রেস গণতন্ত্র আর সংবিধানের ভিত্তি তৈরি করেছিল। সেকারণে সেটা রক্ষা করা কংগ্রেসের কর্তব্য। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হবে। কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে মহাত্মা গান্ধীর শতবর্ষ হবে ২০২৪ সালে। কংগ্রেস সেবাদলের শতবর্ষ ২০২৩ সালে। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানো এটা মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানানোর একটা বড় পথ। সেকারণে আমাদের মৌলিক ইস্যুকে তুলতে হবেই।
তিনি বলেন, আর বসে থাকার সময় নেই। দিন রাত কাজ করে যেতে হবে। ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। একনায়কতন্ত্রকে সরিয়ে ভারতের গণতন্ত্রকে ফেরৎ আনতে হবে।
তিনি বলেন দেশ বদল চাইছে। কর্ণাটকে, হিমাচলে আমরা জয় পেয়েছি। তবে এবার পেছন ফিরে বসে থাকার সময় নয়। এখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। রাত দিন কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, গোটা দেশ অপেক্ষা করে আছে এই মিটিং থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা জানি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো। এটা ভারতের গণতন্ত্রের কাছেও চ্যালেঞ্জের। সংবিধানকে রক্ষা করার চ্যালেঞ্জ। নারী, গরিব মানুষ ও সংখ্য়ালঘুদের রক্ষা করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ।
যে রাজ্যে ভোট আছে সেখানে একাধিক মিটিং করতে হবে। সব জায়গায় কংগ্রেসের পক্ষে পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু সমস্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের বলছি আপনাদের মন্ডল, বিসিসি, ডিসিসি কি ভোটের জন্য় তৈরি? আপনারা কি প্রার্থীর তালিকা তৈরি করছেন? বিভিন্ন ইস্যুর ভিত্তিতে কোথাও মিথ্য়াভাষণ হলে তার যোগ্য জবাব দিতে হবে।