ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে বাংলাদেশের ১৪ জেলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে৷
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে দেশের ১০ হাজার ঘরবাড়ি এবং ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান৷ ঘূর্ণিঝড়টি ভোলা, নোয়াখালি ও চট্টগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪১৯ ইউনিয়নের ১০ হাজার ঘরবাড়ি এবং ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ চার কোটি ৮০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৮০ লাখ গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন৷
সারাদেশের বিভিন্ন সড়কে ২৮৭টি গাছ ভেঙে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে৷ সোমবার সন্ধে ছয়টা নাগাদ প্রথম স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। তবে ঝড়ের মূল কেন্দ্র রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ উপকূলে আঘাত করে। ঝড়ের দাপটে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনজন, ভোলায় দুইজন, সিরাজগঞ্জে দুইজন, নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মারা গিয়েছেন।
রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি ভোলার উপর দিয়ে প্রবেশ করে।ঝড়ের দাপটে চট্টগ্রাম ও বরিশালের একাধিক অঞ্চলে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। উপকূলের প্রায় ১৫টি এলাকায় নদী তিন থেকে পাঁচ ফুট উপর দিয়ে বইছে। বহু জায়গায় বাড়ি ধসে পড়েছে। ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে বহু জায়গায়।
মধ্যরাতে এই ঘূর্ণবায়টির প্রায় সম্পূর্ণই স্থলভাগে উঠে আসার চিত্র দেখা যায় জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের স্যাটেলাইট ছবিতে। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক রাত দুইটায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করেছে। এখন এটি স্থল নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করছে।’
স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ দেখা যাচ্ছে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট হয়ে ভারতের আসামের দিকে। তবে সিত্রাং মাঝারি শক্তি নিয়ে আঘাত করেছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।