ভারতের দার্জিলিং বা শিমলার টয় ট্রেন পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ৷ অস্ট্রিয়ার ছোট এক শহরে কিছু মানুষের উদ্যোগে বহু পুরনো স্টিম ইঞ্জিন ও ট্রেন চালানো হচ্ছে৷ তবে তার জন্য কম পরিশ্রম করতে হয় না৷
অস্ট্রিয়ার ভ্যোর্ট হ্রদের কাছে সাংক ভাইট শহরের এক সংঘ ১৯৯০ সাল থেকে ক্যারিন্থিয়া প্রদেশের পুরনো স্মৃতিবিজড়িত রেল সংরক্ষণের ব্রত নিয়েছে৷ সংঘের সংগ্রহের এক স্টিম ইঞ্জিন এবার অন্য একটি জায়গায় চালানো হবে৷ হ্যারবার্ট চুদনিশ ও তাঁর দুই পুত্র মিশায়েল ও টোমাসকে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ হ্যারবার্ট বলেন, ‘আমাদের গ্রীষ্মের ছুটির শুরুতে যানগুলি পুরোপুরি চালু আছে কিনা, সেদিকে নজর দিতে হবে৷ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ আগেই শেষ করতে হবে৷ শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকেই সব কিছু প্রস্তুত করলে চলবে না, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকেও নজর দিতে হবে৷ কামরার মধ্যে সিট ছেঁড়া হলে চলবে না, কোণায় সব ঝুল দূর করতে হবে৷ যাত্রীরা যেন আমাদের সঙ্গে ভ্রমণ করে খুশি হন৷'
ট্রেনটিকে প্রস্তুত করে গন্তব্যে নিয়ে যাবার আগে শেষবার সবকিছু পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ নিরাপদ ও সুখকর যাত্রার জন্য মিশায়েলকে তেলের আধার ভরে ফেলতে হবে৷ ড্রাইভ লিংকেজের বিঘ্নহীন কাজের জন্য তেল অত্যন্ত জরুরি৷ তারপর কাঠ আর কয়লা দিয়ে স্টিম ইঞ্জিন চালানো হয়৷ এক ঘণ্টার যাত্রার পর গন্তব্য ভাইৎসেল্সডর্ফের ইঞ্জিনের শেড৷ সেখানে ইঞ্জিনের মেরামতি হয়৷ রেল ইঞ্জিন চালক হিসেবে হ্যারবার্ট চুদনিশ বলেন, ‘এই জায়গাটির দায়িত্ব পেতে আমরা সফল হয়েছি৷ দুটি রুটের মাঝে কেন্দ্রীয় জায়গায় আমরা আছি৷ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভবন, কারণ শীতকালে যন্ত্রগুলিকে আবহাওয়া ও বরফের থাবা থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় দিতে হয়৷'
সেখানেই স্টিম ইঞ্জিন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা জমা রাখা হয়৷ প্রত্যেক মরশুমে প্রায় ২৫ টন কয়লা লাগে৷ তবে অতীতের তুলনায় সেই কয়লায় গন্ধকের অনুপাত কম থাকায় বাতাসে বস্তুকণার মাত্রাও কমে গিয়েছে৷
সদ্য সংস্কার করা স্টিম ইঞ্জিনের প্রথম যাত্রা শুরু হচ্ছে৷ তবে স্বেচ্ছাসেবক ছাড়া সেটা সম্ভব হত না৷ ডাভিড মিকেল ও নিকো বেগুশ নামের দুই বন্ধু এরই মধ্যে সবকিছু ভালোই রপ্ত করে ফেলেছে৷ তার পরেরদিনই ইঞ্জিন চালু করা হল৷ সঙ্গে কামরাগুলিও লাগানো হল৷ তারপর মরশুমের প্রথম যাত্রীরা আসতে শুরু করলেন৷ নিকোও কয়লা ঢালার ব্যক্তির সহকারী হিসেবে পুরোপুরি কাজে লেগে পড়ল৷'
অস্ট্রিয়ার শেষ স্টিম ইঞ্জিনগুলির একটি দিয়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে যাত্রা শুধু যাত্রীদের জন্যই অনন্য অভিজ্ঞতা নয়৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)