উত্তরপ্রদেশের জালালাবাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের এক আত্মীয়র। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নিহাল খান। তার বয়স ৩৫ বছর। নিহাল মুম্বইয়ের বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার এক বচসা চলাকালীন নিহালকে গুলি করে খুন করা হয় বলে জানা যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, পলাতক দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কসকরের শ্যালক ছিল এই নিহাল। এদিকে এই নিহাল খান জালালাবাদের চেয়ারম্যান শাকিল খানেরও শ্যালক। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শাকিলের ভাই কামিলের বিরুদ্ধে নিহালকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।
দাবি করা হচ্ছে, ২০১৬ সালে কামিলের মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল নিহাল। পরবর্তীতে সেই বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিটমাট করে নেওয়া হয়েছিল। ভাগ্নের বিয়ে উপলক্ষে মুম্বই থেকে এহেন নিহাল কয়েকদিন আগে এসেছিল জালালাবাদে। সেই সময়ই কামিলের সঙ্গে মুখোমুখি হয় সে। সেই সময় কামিল ও নিহালের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বচসার মাঝেই নাকি নিহালকে গুলি করে খুন করে কামিল। জানা গিয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিমানে করে উত্তরপ্রদেশে আসার কথা ছিল নিহালের। তবে কোনও কারণে সে ফ্লাইট ধরতে পারেনি। পরে সড়কপথে গাড়ি করে মুম্বই থেকে জালালাবাদ আসে নিহাল। দাবি করা হয়, ক্যাটারিং নিয়ে প্রথমে বচসা শুরু হয়েছিল। তারপর তা বাড়তে থাকে। সেই সময় কামিল গুলি করে খুন করে নিহালকে।
এদিকে এই খুন প্রসঙ্গে জালালাবাদের চেয়ারম্যান শাকিল খান বলেন, '২০১৬ সালের ঘটনাটি আমরা আপসের মাধ্যমে মিটিয়ে নিয়েছিলাম পারিবারিক ভাবে। তবে এখন মনে হচ্ছে আমার ভাই কামিল সেই বিষয়টি নিয়ে এখনও ক্ষুব্ধ ছিল। মনে মনে সে রাগ পুষে রেখেছিল। নিহালের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল কামিল।' এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এসপি মনোজ অবস্থি জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত কামিল খান পলাতক। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, যে বন্দুক থেকে নিহালকে গুলি করা হয়, তার লাইসেন্স ছিল কামিলের কাছে। এদিকে নিহালের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, নিহত নিহালের আত্মীয়র শাকিল খান ২০২৩ সালে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জালালাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এই শাকিলের ছেলে আবদুল রাজ্জাকের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই এসেছিল নিহাল। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহাল খান আদতে জালালাবাদের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। পরে সেখান থেকে মুম্বইতে গিয়ে বসবাস শুরু করে নিহাল।