হিন্দু দেবীদের অবমাননা করে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় কোনও পদক্ষেপ কেন করা হয় না? দিল্লি হাই কোর্ট এই প্রশ্নেই বিঁধল মাইক্রোব্লগিং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারকে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘীর নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্নে বিদ্ধ হয় টুইটার। 'অ্যাথেইস্ট রিপাবলিক' নামক এক টুইটার ব্যবহারকারীর মা কালীর উপর আপত্তিকর পোস্ট করেছিল। সেই পোস্টের বিরুদ্ধে একটি আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে আদালতে।
এই মামলার প্রেক্ষিতে টুইটারকে এটা বোঝানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত যে কিসের ভিত্তিতে টুইটার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ব্লক করে। আলাদতের তরফে বলা হয়, এরম কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অতীতে প্ল্যাটফর্মে ব্লক করার উদাহরণ রয়েছে যারা অন্য ধর্মকে আঘাত করে মন্তব্য করেছে। আদালতের তরফে টুইটারকে বলা হয়, ‘বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের জাতিসত্তা বা অন্য ধর্মের মানুষের সংবেদনশীলতা নিয়ে আপনারা মাথা ঘামান না। এরম হলে তো আমরা বলতে পারি যে এই ধরনের জিনিস যদি অন্য ধর্মের সাথে সম্পর্কিত থাকত তবে আপনারা আরও বেশি সতর্ক, আরও সংবেদনশীল হতেন।’
এদিকে মার্কিন সংস্থার হয়ে সওয়াল করা সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতে বলেন যে বর্তমান ক্ষেত্রে আপত্তিকর পোস্টটি সরিয়ে দিয়েছে টুইটার। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এই পোস্টগুলির বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া লুথরা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও ব্যক্তিকে টুইটার ব্লক করতে পারে না।’ এরপরই আদালতের তরফে ট্রাম্পের উদাহরণ তুলে ধরা হয়। আদালতের তরফে বলা হয়, ‘যদি এই আপনাদের যুক্তি হয়, তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কীভাবে ব্লক করেছিলেন আপনারা?’