দিল্লির মেহরুলিতে একসঙ্গে থাকতেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা এবং তাঁর প্রেমিকা শ্রদ্ধা। মেহরুলির সেই ফ্ল্যাটেই নতুন একটি ফ্রিজ কিনে সেখানে ‘ডেক্সটার’ (মার্কিন টিভি সিরিজের চরিত্র) ভঙ্গিতে শ্রদ্ধার মৃতদেহের ৩৫ টুকরো করে রেখেছিল আফতাব। মোট ১৮ দিন যাবত মৃতদেহের অংশগুলি বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফেলে এসেছিল আফতাব। এই ১৮ দিনের সময়কালে নিজের ফ্ল্যাটে একাধিক যৌনসঙ্গীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আফতাব। এমনই দাবি করা হল সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্টে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার পর একাধিক নারীর সঙ্গে ডেটিং অ্যাপে আলাপ করে আফতাব। তাঁদের সঙ্গে দেখাও করে সে। এবং নিজেরই ফ্ল্যাটে তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কেও জড়িয়েছিল আফতাব। সেই সময় ফ্ল্যাটের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা ফ্রিজে জমে পড়েছিল তার প্রেমিকার কয়েক টুকরো দেহাংশ। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, এই ১৮ দিনের সময়কালে অনেকেই আফতাবের ফ্ল্যাটে এসেছিল। তখন ফ্ল্যাটে রুম ফ্রেশনার দেওয়া থাকত। ধূপকাঠি জ্বলত। এই আবহে কেউই এটা ভেবে উঠতে পারেনি যে ফ্ল্যাটে থাকা ফ্রিজে টুকরো করা মৃতদেহ থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, মুম্বইতে প্রথম সাক্ষাত হয়েছিল আফতাব এবং শ্রদ্ধা ওয়াকারের। তবে শ্রদ্ধার পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তারা দিল্লিতে পালিয়ে এসেছিল চলতি বছরের এপ্রিল নাগাদ। এরপরই মে মাসেই নাকি খুন করা হয়েছিল শ্রদ্ধাকে। জেরায় আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধা তার ওপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এদিকে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছে, শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে চলছিল আফতাব। যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই থাকত।