দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় আরও একবার ধাক্কা খেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোসদিয়া। এই মামলায় চলতি বছরের শুরুতেই এই মামলায় আর্থিক তছরুপ ও দুর্নীতির দায়ে মণীশ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন। পরে ইডির জালেও তিনি পড়েন। এরপর তাঁর জামিন নিয়ে চলেছে দীর্ঘ আইনি লড়াই। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে সোমবার মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, এই মামলায় আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে গোটা ট্রায়াল পর্ব শেষ করতে হবে। কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হচ্ছে, এই মামলা খুব ধীর গতিতে চলছে। মণীশ সিসোদিয়া তাঁর জামিনের জন্য ফের আবেদন করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে কোর্ট। উল্লেখ্য,দুটি ভিন্ন জামিনের আবেদনের ‘রেগুলার’ মামলাও চলেছে। সেখানে বিচারপতি এসভিএন ভাট্টি ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ওই দুই মামলায় ১৭ অক্টোবর রায়দান রিজার্ভে রাখেন। এদিকে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এও বলছে যে ৩৩৮ কোটির দুর্নীতি মামলায় কিছু দিক রয়েছে, যা প্রশ্নযোগ্য। টাকার লেনদেন ঘিরেই রয়েছে প্রশ্ন। কোর্ট বলছে, আর্থিক লেনদেনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত উঠে আসছে। শীর্ষ আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে ৩৩৮ কোটি টাকার মানি ট্রেল স্থানান্তর সংক্রান্ত দিকগুলি সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এই দুর্নীতি মামলায় কিছু দিক সন্দেহজনক থাকায় এই মামলায় মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে বলেও কোর্ট জানিয়েছে। এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, যে দুর্নীতির আশঙ্কা করে এই তদন্ত এগোচ্ছে তাতে যদি দেখা যায়, যে টাকা লেনদেনে এই মামলায় মোড় ঘুরেছে হয়েছে, তা ওই আশঙ্কার সঙ্গে মিলছে না, তাহলে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে মণীশ সিসোদিয়া দীপাবলির আগে জামিন পাবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে লাখ টাকার প্রশ্ন।
দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় বছরের শুরুর দিক থেকেই সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়েন মণীশ সিসোদিয়া। বহুবার তাঁকে জেরা করা হয়। পরে ওই দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে সিবিআইয়ের এফআইআরের হাত ধরে ইডি গ্রেফতার করে মণীশকে। আর্থিক দুর্নীতি তদন্তকারী ইডি এই মামলায় তদন্ত শুরু করে। দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে পড়েন মণীশ। চলে জেরা। পরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দেন। এদিকে, একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে। সেই জামিনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন মণীশ সিসোদিয়া।