প্রচন্ড ঠান্ডা দিল্লিতে। কয়লা জ্বালিয়ে অনেকেই ঘর গরম করার ব্যবস্থা করছেন। আর সেই কয়লা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৬জনের। তার মধ্য়ে চারজন একই পরিবারের। দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে এই ঘটনা হয়েছে। রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন তারা। তার মধ্য়েই তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কার্যত দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাদের।
এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাড়িতে অনেকেই কাঠকয়লা জ্বালিয়ে রাখেন। এরপর ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই কাঠকয়লার আগুন থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আর তার পরিণতিতেই মৃত্যু হল ৬জনের।
রবিবার সকালে দিল্লিতে একেবারে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা ছিল। তাপমাত্রা নেমে যায় ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিল্লির বাইরে খেরা কালান গ্রামে এক গাড়ি চালক, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান একটি ঘরে শুয়েছিলেন। ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে তারা ঘরে কাঠ কয়লার আগুন জ্বালান। আর সেই ঘর থেকেই উদ্ধার হল চারজনের দেহ। ঘুমের মধ্য়েই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাদের।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ( আউটার নর্থ) রবি কুমার সিং জানিয়েছেন, সকাল ৭টা নাগাদ আলিপুর থানায় একটা ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল একজনের অচৈতন্য দেহ পড়ে রয়েছে এলাকায়। এরপরই পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ গিয়ে দেখে ভেতর থেকে ঘরটি বন্ধ। পুলিশ কাঁচের জানালা ভেঙে দরজাটি কোনওরকমে খোলে। পুলিশ ভেতরে গিয়ে দেখে চারজনের দেহ পড়ে রয়েছে। আর ঘরে জ্বলছে কাঠকয়লার আগুন।
ডিসিপি জানিয়েছেন, সম্ভবত দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্য়ু হয়েছে। অঙ্গিথির আগুন থেকে এই কাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।
পশ্চিম দিল্লির ইন্দরপুরী এলাকায় অপর একটা ঘটনা হয়েছে। শনিবার রাতে দুজনের দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। একটি বিল্ডিংয়ের তিনতলায় তারা ছিলেন। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ( ওয়েস্ট) বিচিত্রা বীর জানিয়েছেন, পুলিশ দরজা ভেঙে ফেলেছিল। ভেতরে দেখা যায় দুজন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভেতরে একটা অঙ্গিথি জ্বলছিল।