জল্পনা থাকলেও জিএসটি-র আওতায় আনা হয়নি পেট্রল, ডিজেলকে। এর জেরে আপাতত চড়া দামেই জ্বালানি কিনতে হবে গাড়ির মালিকদের। এর আগে কেরল হাই কোর্ট একটি নির্দেশে পেট্রল, ডিজেলকে জিএসটির অন্তর্গত করার কথা বলেছিল। সেই নির্দেশিকার জেরে এই বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। তবে অনেক রাজ্যই জ্বালানি তেলকে জিএসটির আওতায় আনতে দিতে চায়নি। এর ফলে সার্বিক ভাবে জিএসটি কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয় যে এখনই জিএসটি-র আওতায় আসবে না পেট্রল, ডিজেল। এই বিষয়ে এডিটর-ইন-চিফ আর সুকুমারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মা সীতারমন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'অনেকাংশেই, এটি রাজ্যের স্বাচ্ছন্দের উপর নির্ভর করে। রাজ্যগুলি মনে করে যে তাদের খুব কম সামগ্রী রয়েছে যার উপর তারা কর বাড়াতে বা হ্রাস করার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে। জ্বালানি, মদের উপর ট্যাক্স তাদের হাতে। তারা মনে করে যে এই সময়ে রাজস্ব তাদের অধীনে থাকা দরকার। পরে যেই পর্যায়ে পৌঁছালে তারা তা ছেড়ে দিতে পারে, তখন তারা সেই পদক্ষেপের পক্ষে সায় দেবে। আমি এই সময়ে রাজ্যগুলিকে ধাক্কা দিতে চাই না। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি খুব কঠিন। এই কাজ করে রাজ্য কোনও বাড়তি সুবিধা পাবে না। এই পর্যায়ে, আমি তাদের কারণে কোনও টাকা আটকে রাখছি না; এবং আমরা নিশ্চিত করছি যে তারা আরও ঋণ নিতে পারে।'
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমার সামনে পেশ করার একমাত্র উদাহরণ তুলে ধরা হয় - কেন্দ্রের লাগু করা আবগারি 'মূল্য সংযোজন' নয়; এটা নির্দিষ্ট। যদি এটি 'মূল্য সংযোজন' করা হয়, তাহলে প্রতিবার কোনও সামগ্রীর দাম বাড়লে, এটিও বেড়ে যায়। আর সেই পণ্যের দামও স্বভাবত বেড়ে যাবে। সুতরাং, রাজ্যগুলিতে যা ঘটছে তার সাথে আমাকে এই ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এটাও সময়ের প্রশ্ন। আমি এর বাইরে মন্তব্য করতে পারব না।'