এবার গর্ভ সংস্কারেও মন দেবে আরএসএস অনুমোদিত একটি সংস্থা। এক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের কাছে একগুচ্ছ পরামর্শ দেবে তারা। এক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের পরামর্শ দেওয়া হবে তারা যাতে ভগবৎ গীতা পড়েন, রামায়ণ পড়েন, সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ করেন, আর যোগা অনুশীলন করেন। আর এতেই জন্ম হবে সংস্কারী ও দেশভক্ত শিশুর।
সংবর্ধিনী ন্যাসের পক্ষ থেকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানানো হয়েছে, একেবারে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই গর্ভ সংস্কার কর্মসূচি পালন করা হবে। গর্ভবস্থা থেকেই যাতে সংস্কার শেখে সেটারই চেষ্টা করা হবে। গর্ভধারণ থেকে শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। শিশুর বয়স ২ বছর হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। একেবারে অভিনব উদ্যোগ। গোটা দেশ জুড়েই এই কর্মসূচি চলবে। রাষ্ট্র সেবিকা সংঘের সহায়তায় চলবে এই কর্মসূচি। মূলত ভারত নির্মাণের অংশ হিসাবেই এই উদ্যোগ। সেই ভারতে যাতে সংস্কার সম্পন্ন, দেশ ভক্ত যুবক যুবতীরা থাকেন সেকারণে গর্ভাবস্থা থেকেই তাদের কার্যত সেই পথে অনুপ্রাণিত করা হবে। গর্ভে যখন শিশু থাকবে তখন যাতে মা ভক্তিমূলক বই পড়েন, রামায়ণ পড়েন, গীতা পড়েন, সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ করেন তার ব্যবস্থা করা হবে।
আসলে মায়ের পেটে যখন ভ্রুণ থাকবে তখন থেকেই শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। সাত্ত্বিক খাবার, ভালো পরিবেশ যাতে মা পান সেটাও দেখা হবে।
তবে এই কাজে চিকিৎসকদেরও কাজে লাগানো হবে। এজন্য বিশেষ টিমও তৈরি করা হবে। প্রিন্ট-এর প্রতিবেদন অনুসারে খবর, গোটা দেশকে ৫টি ভাগে ভাগ করা হবে। একটি টিমে ১০জন করে চিকিৎসক থাকবেন। অন্তত ২০জন প্রসূতি মাকে এই পরামর্শ দেবেন একজন চিকিৎসক।
আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথি ও অ্যালোপাথিক চিকিৎসকরা থাকবেন এই টিমে। একজন সাবজেক্ট এক্সপার্টও থাকবেন এই টিমে। মূল কথা যে সন্তান আগামীতে ভূমিষ্ঠ হবে সে যাতে দেশভক্ত হয়, ভালো সংস্কারের হয় সেব্যাপারে সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। আগামী দিনে তাদের সংস্কার ভালো থাকে, সংস্কৃতি সম্পন্ন হন, মহিলাদের প্রতি তাদের সম্মান থাকে সেটার জন্যই এই উদ্যোগ।
সংস্থার দাবি, গর্ভাবস্থায় চারমাসের মধ্য়েই শিশু শুনতে পায়। এটা বিজ্ঞান। সেকারণে বাবা মা শিশুকে দেশ সম্পর্কে জানাবে, পরিবার সম্পর্কে জানাবে, ভারতের মহাপুরুষদের সম্পর্কে জানাবে, কোথায় সে আগামীদিনে থাকবে সেই সম্পর্কে জানাবে। তবে এটা পুরোপুরি সংগঠনের দাবি। সংস্কৃত শ্লোক শুনলে গর্ভাবস্থায় থাকা শিশুর ইতিবাচক তরঙ্গ পৌঁছবে বলে দাবি সংগঠনের।