মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অিল দেশমুখের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীপ পালান্ডে এবং ব্যক্তিগত সহায়ক কুন্দন শিণ্ডেকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। মুম্বইয়ের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে ১০০ কোটি টাকার তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর দুই সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তবে দুই জনের বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়ায় 'প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট'-এর অধীনে দুই জনকেই গ্রেফতার করা হয়। ইডির আরও অভিযোগ, এই দুই জন তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না। আজ আদালতে পেশ করা হবে দুই জনকে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের পাব ও বারগুলি থেকে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে। পুলিশকে দিয়ে তিনি এই কাজ করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তাঁর একটি বাংলো ও একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুম্বাইয়ের প্রাক্তন পুলিশ অফিসার পরমবীর সিংয়ের করা দুর্নীতির অভিযোগের সূত্র ধরে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এর আগে আদালতের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল ঠিক করার জন্য যে এই দুর্নীতির অভিযোগ আদৌ দায়ের করা যাবে কি না। আদালত থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই ৬ এপ্রিল থেকে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তরফ থেকে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছিলেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিং। তাঁর দাবি, বার ও রেস্তরাঁগুলি থেকে মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দিয়েছিলেন অনিল। তোলা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিক ও কর্মীর উপর। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুম্বই পুলিশের সাসপেন্ডেড অ্যাসিসট্যান্ট ইন্সপেক্টর সচিন ওয়াজে। এনআইএ হেফাজতে রয়েছেন ওয়াজে। তাঁর বিরুদ্ধে মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছে বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ির রাখার এবং সেই ঘটনায় হিরেন মনসুখ নামে এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এদিকে এই মামলার প্রেক্ষিতে পরমবীরকে কমিশনার পদ থেকে অপসারণ করা হলে অনিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পরমবীর।