আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক নয়াদিল্লিতে রয়েছে। আর এই বৈঠক আজ বয়কট করলেন আটজন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রের আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। তারপরে নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বেঁকে বসেন। তা দেখে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও একই পথে হাঁটলেন। এবার আরও তিন মুখ্য়মন্ত্রী সেই তালিকায় যুক্ত হলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। এই কথা তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং এটা কার্যত বিজেপির বৈঠকে পরিণত হতে চলেছে।
আজ, শনিবার নয়াদিল্লিতে বসছে নীতি আয়োগের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন। প্রগতি ময়দানের নিউ কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনেও বিরোধীরা থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং বিরোধী ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্রের ছবি তুলে ধরা সম্ভব নয়। নীতি আয়োগের বৈঠক ‘বয়কট’ করার কথা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন কেজরিওয়াল। তাঁর বক্তব্য, এই বৈঠক বয়কট করা হচ্ছে। কারণ এই বৈঠক অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক। তাছাড়া কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে রাখতে যে অধ্যাদেশ আনা হয়েছে তার বিরোধিতা করেই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করছেন।
কেন যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? আজ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি এই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে নবান্ন থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর পরিবর্তে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বৈঠকে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাতে মান্যতা না দেওয়ায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও প্রতিনিধিই পাঠানো হচ্ছে না নীতি আয়োগের বৈঠকে।
এদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও এই বৈঠকে সাড়া দিচ্ছেন না। তিনি জানিয়ে দেন, পূর্ব কর্মসূচি স্থির থাকায় তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না। তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে পাঠালে যদি হয় তিনি তা করতে পারেন। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সাড়া দেননি। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না। কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, আগে থেকেই কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক ঠিক রয়েছে। অন্যদিকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সিঙ্গাপুর ও জাপান সফরে রয়েছেন। ফলে যোগ দিতে পারবেন না বৈঠকে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছেন। তিনি জানান, পাঞ্জাবের রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের জন্য বরাদ্দ ৩,৬০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না। তবে কারণ স্পষ্ট করেননি।