দুর্গাপুরের লাউদোহায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হল। আজ, শনিবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল দাদা ও দুই বোনের দেহ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এক সিভিক ভলান্টিয়ার–সহ তার দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল লাউদোহার লস্করবাধের আদিবাদী পাড়ায়। আজ, শনিবার সকালে তিন ভাই–বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে প্রতিবেশীরা।
ঠিক কী ঘটেছে দুর্গাপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ ঘরের মধ্যে পড়ে ছিল তিনজনের অগ্নিদগ্ধ দেহ। সাতসকালে এই দৃশ্যে দেখে সবাই হতবাক। একসঙ্গে তিন ভাইবোনের মৃত্যুতে এলাকায় জের চর্চা শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে তিন ভাই–বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। কেমন করে আগুন লাগল, সেটা বুঝতে পারা যাচ্ছে না। খুন নাকি আত্মহত্যা সেটাও নিশ্চিত নন প্রতিবেশীরা। শনিবার সকালে খবর পেয়ে পাড়ার লোক গিয়ে দেখেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিন ভাই–বোনের দেহ ঘরে পড়ে রয়েছে। ঘরের বেশ কয়েকটি আসবাবপত্রও পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মঙ্গল সোরেন লাউদোহা থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর এক বোন কলকাতায় নার্সিংয়ের কাজ করতেন। দুই বোনের বিয়ে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার মঙ্গল। তার মধ্যেই বিয়ে ঠিক হয় মঙ্গল সোরেনের। সেখানে হঠাৎ করে এমন ঘটনা বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে তবেই বলা যাবে প্রকৃত কারণ। তবে দেহ পুড়েছে এটা স্পষ্ট। কেউ আগুন লাগিয়ে মেরেছে নাকি নিজেরা আত্মঘাতী হয়েছেন সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক বোন সুমি সোরেন। অপর বোন বাড়িতেই থাকতেন। তাঁদের বাবা হপনা সোরেন ইসিএলের প্রাক্তন কর্মী। কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মায়ের। মৃতদের নাম মঙ্গল সোরেন (৩৩), সুমি সোরেন (৩৫) এবং সুকুমনি সোরেন (২৮)।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানের প্রতিবেশী সাধন টুডু জানান, কোনও অশান্তিতে থাকত না এই পরিবার। এলাকায় সুনাম রয়েছে তাঁদের। এই রহস্যমৃত্যু কেন ঘটল? সেটা বোঝা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তাঁদের বাবা বারান্দায় শুয়েছিলেন রাতে। তিনি ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। তখনও পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারেননি।