আদানি গোষ্ঠী কি তবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে? মঙ্গলবার আদানি গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সংস্থার শেয়ার উর্দ্ধমুখী হয়েছে। ফ্ল্যাগশিপ সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজেস-এর শেয়ারও দিনের শুরুতে এক লাফে ১৫% উর্ধ্বমুখী হয়। হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে আদানি গোষ্ঠীর ১০টি সংস্থার মধ্যে ৮টির শেয়ারই উর্ধ্বমুখী হয়। অন্যদিকে বাকি ২টি শেয়ার নিম্নমুখীই ছিল। বেলা গড়ানোর সঙ্গেই বেশিরভাগ শেয়ারই উর্ধমুখী থেকেছে।
BSE-কে আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ার প্রায় ১৫.১৪% বেড়ে ১,৮১০.৮৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার ৫% বেড়ে ১,৩১৯.২৫ টাকায় চড়ে। আরও পড়ুন: আদানি নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই RBI যা জানাল…
এক নজরে দেখুন, দুপুর ১.১০ নাগাদ আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ারের অবস্থান:
- আদানি এন্টারপ্রাইজ: + ১৫.১৪% (১,৮১০.৮৫ টাকা)
- আদানি ট্রান্সমিশন: + ৫% (১,৩১৯.২৫ টাকা)
- আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন: +৩.৬৯% (৫৬৭ টাকা)
- আদানি উইলমার: +৪.৯৯% (৩৯৮.৯০ টাকা)
- এসিসি লিমিটেড: +১.০৪% (১,৯৯০ টাকা)
- অম্বুজা সিমেন্টস: -১.২৫% (৩৭৫.৪০ টাকা)
- NDTV: +৪.০৭% (২২৪ টাকা)
- আদানি পাওয়ার: -৩.৮৪% (১৭৫.৪০ টাকা)
- আদানি গ্রিন: -৩.২০% (৮৬০.৫০ টাকা)
- আদানি টোটাল গ্যাস: -৫% (১,৪৬৪ টাকা)
কিন্তু আদানির শেয়ার এভাবে ঘুরে দাঁড়াল কীভাবে? প্রথমত, আদানি গোষ্ঠী সোমবার একটি বড় ঘোষণা করে। তাতে তারা জানায়, শেয়ারের বিনিময়ে ঋণ নেওয়া হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে তারা 'লোন প্রিপে' করে দেবে। অর্থাত্, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে ১.১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মেটানোর কথা, তা এখনই আগেভাগেই মিটিয়ে রাখবে তারা। এর ফলে সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। আরও পড়ুন: Adani: ৮,০০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ সময়ের আগেই মিটিয়ে দেবার ঘোষণা আদানি গোষ্ঠীর
এর পাশাপাশি সংস্থা জানায়, শেয়ার টালমাটাল হলেও মূলধন বিনিয়োগে কোনও কাটছাঁট করছে না তারা। অর্থাত্ বিভিন্ন ব্যবসা ও প্রকল্পগুলি আগের মতো চলতে থাকবে। আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক রিপোর্টও প্রকাশ করে। তাতে সংস্থার মুনাফা বৃদ্ধি, আয় বৃদ্ধির মতো ইতিবাচক পরিসংখ্যান রয়েছে। আর সেই কারণেই ফের সংস্থায় বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার আদানি গ্রুপের ছয়টি শেয়ারই লাল দাগে দৌড় শেষ করেছিল। ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর থেকে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলি সম্মিলিত বাজার মূলধন থেকে প্রায় ৯.৫ লক্ষ কোটি টাকা কমে গিয়েছে। মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেল কোম্পানির দ্বারা শেয়ার কারচুপি, অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি এবং বিপুল ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়। তবে শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup