চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভোর ৪ টের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। শুধু সেই কারণে ওই তরুণী এবং তার প্রেমিককে কুপিয়ে খুন করলেন বাবা। শুধু তাই নয়, খুন করার পর রক্তমাখা অস্ত্র থানায় নিয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে ত্রিকোণ প্রেম, তরুণীর নতুন প্রেয়সীকে খুন করল প্রাক্তন, ধৃত ৩
বাদাউনের পুলিশ সুপার ওপি সিং জানান, ঘটনাটি ঘটেছে পারোলিতে। ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণী তার বছর কুড়ির প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন তাদের খুন করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের নাম মহেশ। দুজনকে খুন করার পর তিনি বিলসি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন সহ ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ এবং ৩৪ ধারার অধীনে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। মৃত তরুণের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে তরুণীর বাবা মা এবং তার পরিবারের তিন সদস্য জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ তরুণ ীর বাবা এবং মাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সুপার জানান, মৃতেরা একই সম্প্রদায়ের। জানা গিয়েছে, তরুণ এবং তরুণী দুজনেই একে অপরের প্রতিবেশী। দু বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তার মেয়ে প্রতিবেশী ওই তরুণের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি তাদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখছিলেন। মঙ্গলবার ভোর ৪ টে নাগাদ যখন ওই তরুণী বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বের হন তখন তার পিছু ধাওয়া করেন বাবা। এরপর দুজনকেই কোদাল দিয়ে আক্রমণ করে। বারবার আঘাতের ফলে একজনের ধড় থেকে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উভয়কেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে এক পুলিশ অফিসার জানান। জানা গিয়েছে, মৃত তরুণের নাম শচীন। তিনি হিমাচল প্রদেশে কাজ করতেন। গত ৩১ ডিসেম্বর বাড়িতে এসেছিলেন।