বোমাতঙ্ক ছড়ালো গোয়ার ডাবোলিম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। নিরাপত্তা তল্লাশির সময় বিমানের যাত্রী এক দম্পতি দাবি করে, ব্যাগে বোমা রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় বিমানবন্দরের অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে। ঘটনার জেরে বেঙ্গালুরুগামী বিমান ৯০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। যদিও শেষমেষ দম্পতির ব্যাগ থেকে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তাদের আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'বিমানে ৩ টি বোমা', এল হুমকি ফোন, ৮ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ল ভিস্তারার বিমান
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১১ঃ৪২ টা নাগাদ। ইন্ডিগো বিমানে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষা করছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময় ওই দম্পতি ব্যাগে বোমা থাকার কথা বলে। এলাকার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ভাস্কো) সেলিম শেখ জানান, দম্পতির নাম হল অতুলকুমার কেওয়াত (২৯) এবং তৃতীয়া জানা (২৯)। এরমধ্যে অতুল মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা এবং তৃতীয়া কলকাতার বাসিন্দা। তারা গোয়া থেকে ইন্ডিগো বিমানে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল। তখনই তাদের মুখে বোমা কথাটি শোনা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাগ পরীক্ষার সময় অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল দম্পতি। তখন তাদের মধ্যে একজন হিন্দিতে বলেন, ‘উসকে ব্যাগ মে বোম হ্যায় ( ওর ব্যাগে বোমা আছে)।’ ঘটনায় অন্যান্য যাত্রীরা বিষয়টি নিরাপত্তারক্ষীদের জানান। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত তাদের নিয়ে গিয়ে লাগেজ পরীক্ষা করেন। যদিও তাদের ব্যাগে সন্দেহের জন্য কিছু পাওয়া যায়নি। তাছাড়া তারা কার ব্যগে বোমা রয়েছে? সে বিষয়টিও উল্লেখ করেননি। এখন দম্পতি মজার ছলে এই কথা বলেছিল কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিমানবন্দর থানার পুলিশ তাদের আটক করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, তারা গোয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তাদের এই মন্তব্যের জেরে বিমানটি নির্দিষ্ট সময়ের ৯০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। কার ব্যাগে বোমা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ওই দম্পতি তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মাস খানেক আগে একই ধরনের ঘটনায় ঘটেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। বিরক্ত হয়ে।এক যাত্রী দাবি করেছিলেন তার ব্যাগে বোমা রয়েছে। শেষে বিমানটি তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। তারপর গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। যদিও সে ক্ষেত্রে যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।