অযোধ্য়ায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু যখন প্রথম ঢুকলেন ওই মন্দিরে, দেখলেন রামলালার মূর্তিকে তখন ঠিক কেমন মনে হচ্ছিল? সেই অনুভূতির কথা সামনে আনলেন মোদী। একেবারে অন্যরকম সেই অনুভূতি। বাস্তবিকই সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন আপনার অনুভূতি ঠিক কেমন ছিল? যখন আপনি প্রথম আরতি করলেন তখন আপনার অনুভূতি ঠিক কেমন ছিল?
মোদী বলেন. খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যে সময় আমাকে ট্রাস্টি প্রথম আমাকে আমন্ত্রণ করল, দেখুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনেক নিমন্ত্রণ আসে। কিন্তু এই নিমন্ত্রণ যখন পেলাম তখন অন্যরকম লাগছিল। এক ধরনের আধ্যাত্মিক আবহাওয়া ডুবে যাচ্ছিলাম। আমার কাছে যথার্থ শব্দটা ঠিক নেই। বিজ্ঞান আর আধ্য়াত্মবাদকে যারা পরস্পরের শত্রু বলে মনে হয় তাঁদের আমার কথা শুনে খুব মজা লাগতে পারে। দেখুন আমার সেই সময় অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল। এরপর মনে হল ১১ দিনের রীতি পালন করব। আমি রামের সঙ্গে সম্পর্কিত যে স্থানগুলি রয়েছে সেখানে যাব। আমি দলের কাজও করব। সরকারের কাজও করব। সেই সঙ্গেই বাকি সময় আধ্য়াত্মিক আবহাওয়ায় থাকব। আর ১১দিনের ওই অনুষ্ঠানে পুরো অন্তর্মুখী হয়ে গেলাম।
মোদী বলেন, এরপর যখন আমি অযোধ্য়ায় গেলাম, এক পা, এক পা করে চলছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যাচ্ছি নাকি ভারতের এক নাগরিক হিসাবে যাচ্ছি। আমি সবসময় এটা অনুভূব করি যে ১৪০ কোটি নাগরিকের মতোই আমি সামান্য এক ভক্তজন। কোনও আশপাশ কিছু নেই। দেশ, ৫০০ সালের সংঘর্ষ, লাখো লোকের তপস্যা, বলিদান, আশা, আকাঙ্খা, ভক্তি, এত বিশাল…এই ভাব নিয়ে মন্দিরে গেলাম। প্রথমে ভাবছিলাম ১৪০ কোটির স্বপ্নকে পূরণ করলাম, টার্নিং পয়েন্ট… এই সব ভাবছিলাম।… যখন রামলালার সামনে এলাম। প্রথমে চরণ দেখলাম। এরপর চোখের দিকে তাকালাম। সেই সময় আমার চোখ আটকে গেল। পন্ডিতজী বলছিলেন, এই করো, ওই করো। কিন্তু আমার মন তো আটকে গেছে…রাম লালা যেন বলছেন আমায় ,স্বর্ণযুগ এসে গেছে। ভারত আগে এগোচ্ছে। ১৪০ কোটি দেশবাসীর স্বপ্ন, এমন মুহূর্ত হয়তো আর আসবে না। আরতি তো করলাম। কিন্তু ব্যক্তিগত যে অনুভূতি হয়েছিল সেটা শব্দ দিয়ে ব্যাখা করতে পারব না….