একসময় জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘বোঝে না সে বোঝে না’র দৌলতে টেলিপর্দার জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন মধুমিতা সরকার। আর এই ধারাবাহিকের দৌলতেই এখনও সকলের কাছে 'পাখি' হয়ে রয়ে গিয়েছেন মধুমিতা। পরে ‘কুসুম দোলা’ সিরিয়ালে ইমনের চরিত্রে আরও একবার মন কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। বেশকিছু হিট মেগার পর সিনেমা ও OTT-র দুনিয়ায় পা রাখেন মধুমিতা সরকার।
এদিকে নিজের কেরিয়ার গ্রাফ যখন ঊর্ধমুখী, সেসময়ই অন্যপথ বেছে নিলেন মধুমিতা সরকার। এখন প্রশ্ন, তাহলে কি অভিনয় দুনিয়াকে বিদায় জানাতে চলেছেন মধুমিতা?
আজ্ঞে নাহ, এক্কেবারেই তেমন কিছুই নয়। মধুমিতা আসলে কিছুটা আধ্যাত্মিক হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধুমিতা বলেন, তিনি শিবের ভক্ত। নেটদুনিয়া থেকেই শিবের বিষয়ে নানান জ্ঞানার্জন করেছেন বলে জানান। জীবনের এই আধ্যাত্মিক মোড়টাকে বেশ উপভোগও করছেন বলেও মন্তব্য করেন মধুমিতা।
তবে এর আগেও ভ্রমণবিলাসী মধুমিতা বেশকিছু সোলো ট্রিপে বের হয়ে বিভিন্ন শিবমন্দির দর্শন করেছেন। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন মধুমিতা। ২০২৩-এ পেলিংয়ের এক শিবমন্দির থেকে রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেখানে কপালে তিলক কেটে, রুদ্রাক্ষের মালা গলায় দেখা যায় মধুমিতাকে। সেই ছবিতে এক অনুরাগী মধুমিতার উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘চিন্তা কোরো না, শিবের মতোই বর পাবে।’
আবার গতবছরই শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশে গিয়েও সেখানকার এক শিবমন্দির দর্শন করতে দেখা গিয়েছিল মধুমিতাকে। খালি পায়ে মন্দিরে ঢুকে শিব আরাধনা করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। আবার কিছুদিন আগে উত্তরাখণ্ডের তুঙ্গনাথের শিবমন্দির দর্শনেও গিয়েছিলেন তিনি। বহুবার মধুমিতার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে শিবের জন্য তাঁর উপবাস রাখার কথাও জানা গিয়েছে।
ক্রমাগত অভিনেত্রীর শিবমন্দির দর্শন দেখেই প্রশ্ন জেগেছিল, তবে কি মধুমিতা শিবভক্ত হয়ে উঠলেন? আর এবার উত্তরটা নিজেই দিলেন মধুমিতা সরকার। হ্য়াঁ, তিনি শিবভক্ত। জীবনের এই আধ্যাত্মিক মোড়কে সত্য়িই উপভোগও করছেন, তবে তার জন্য অভিনয় ছাড়ছেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণই নেই।
শেষবার মধুমিতা সরকারকে দেখা গিয়েছে চিনি-২তে। যে ছবি বক্স অফিসে বেশ ভালোই সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও জাতিস্মর ওয়েব সিরিজেও দেখা গিয়েছে মধুমিতাকে। আবার মাঝেমধ্যে এই মধুমিতারই বোল্ড ফটোশ্যুটে নেটিজেনদের ঘুম উড়ে যায়।