হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল রাজস্থানের জয়পুরে। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অনুষ্ঠানে মেয়েদের হিজাব পরা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক বালমুকুন্দ আচার্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পড়ুয়াদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সুভাষ চক থানার বাইরে বিক্ষোভ করে পড়ুয়ারা। থানার বাইরে রাস্তা আটকে তারা বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পড়ুয়ারা বিধায়কের কাছে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা সিদ্দারমাইয়ার
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিধায়ক। তখন মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে থাকতে দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘হিজাব নিষিদ্ধ। হিজাব পরা অবস্থায় মেয়েরা কীভাবে নিশ্বাস নিতে পারে?’ তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন বিধায়ক।
এই ঘটনার পরেই আদর্শ নগর আসনের কংগ্রেস বিধায়ক রফিক খান রাজস্থান বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্পিকার তাঁকে কথা বলতে দেননি এবং বিধানসভার কার্যক্রম থেকে তার বিবৃতিটি বাদ দেন। যদিও হিজাব বিতর্ক নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাওয়া মহল কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক আচার্য। তিনি জানান, স্কুলের অধ্যক্ষকে ড্রেস কোডের নিয়ম সম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
বিধায়ক এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি স্কুলের প্রিন্সিপ্যালকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ২৬ জানুয়ারির জাতীয় অনুষ্ঠান বা সরকারি স্কুলে বার্ষিক উৎসব হলে পড়ুয়াদের আলাদা পোশাকের ব্যবস্থা আছে কিনা?’ তিনি জানান, স্কুলে অনুষ্ঠান চলাকালীন মেয়েরা কেউ হিজাব আবার কেউ বোরকা পরেছিল।সেখানে দুই ধরনের পরিবেশ থাকায় তিনি অধ্যক্ষকে ড্রেস কোড সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, স্কুলে দুই ধরনের ড্রেস কোড কেন থাকবে? শুধু তাই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। পোশাক পরিবর্তনের কথা তিনি বলেননি।
সহকারি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) হেমন্ত জাখর জানান, স্কুলে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন বিধায়কের বক্তব্যের প্রতিবাদে ছাত্রীরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা সোমবার থানার বাইরে বিক্ষোভ করে। তিনি জানান, ছাত্রী এবং তাদের পরিবারের দাবি ছিল বিধায়ককে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ব্যাপারে তারা থানায় অভিযোগও করেছেন বলে জানান তিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রী ও তাদের পরিবারকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।