কর্ণাটকে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কয়েক মাস আগেই কর্ণাটকে বিজেপি সরকারকে গদিচ্যূত করে সেখানে মসনদে বসেছে কংগ্রেসের সরকার। আর সেই কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া শুক্রবার ঘোষণা করেছেন যে কর্ণাটকে আর হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
এদিন কান্নাড়া ভাষায় একটি টুইটে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আমি নির্দেশ দিয়েছি (অফিসারদের) যাতে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।’ এদিনের টুইটে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে একহাত নেন। তিনি লেখেন, ‘ পোশাক, কাপড়, জাতির ভিত্তিতে মানুষ ও সমাজকে ভাগ করাচ্ছে ’ বিজেপি বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কর্ণাটকে সেরাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই সময় কর্ণাটকের মসনদে ছিল বিজেপির সরকার। এরপর কর্ণাটকে ভোটের লড়াইয়ের পর ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন সিদ্দারামাইয়া। আর উপমুখ্যমন্ত্রী হন ডি শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়া সদ্য একটি অনুষ্ঠানে বলেন,'আমরা সিদ্ধান্ত ফেরত নেব। আর কোনও হিজাব নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। মহিলারা হিজাব পরেই বের হতে পারেন। আমি নির্দেশ দিয়েছি অফিশিয়ালদের যাতে ওই নির্দেশ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।' সিদ্দারামাইয়া সদ্য বলেছেন, ‘পোষাক পরা আর খাবার খাওয়া আমাদের পছন্দ, আমি আপত্তি করব কেন? তোমার যা খুশি পরো, যা খুশি খাও, আমি কেন পাত্তা দিব। ভোট পাওয়ার জন্য রাজনীতি করা উচিত নয়, আমরা তা করি না।’
(বিয়ের মেনুতে মটর পনির হয়নি কেন? চেয়ার তুলে ধুমধাড়াকা মারপিট, ঘুষি বর আর কনেপক্ষের)
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। ঘটনার সূত্রপাত কর্ণাটকের উড়ুপির প্রি ইউনিভার্সিটি কলেজের ক্যাম্পাস থেকে। সেখানে মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরে কলেজে আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই থেকে বিতর্কের শুরু। পরে কর্ণাটক সরকারও ফেব্রুয়ারি মাসে এই হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে জারি করে। পরে, তা তুলে নিল বর্তমান কংগ্রেস সরকার। উল্লেখ্য, এই হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আগে ছিল কর্ণাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর। সেই সময় কর্ণাটকে বিজেপি সরকারের সেই সিদ্ধান্ত ঘিরে ব্যপক বিতর্ক দানা বাঁধে।