দেবব্রত মোহান্তি
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ওড়িশায়। মহানদী ও বৈতরনী নদীর জল ক্রমশ ফুঁসছে। কমপক্ষে ৫ জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলে ডুবে গিয়েছে। সোমবার রাতে চারজন যাত্রীকে নিয়ে ওই বন্যার জলের উপর দিয়েই যাচ্ছিল একটি গাড়ি। অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন তাঁরা।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে গাড়িতে ফিরছিলেন কয়েকজন। সোমবার রাতে কটক-সম্বলপুর রাস্তায় আটকে যান তাঁরা। প্রায় তিনঘণ্টা তাঁদের বন্যার জলের মধ্যে আটকে থাকতে হয়। এরপর দমকল দফতর তাঁদের উদ্ধার করে। তবে তাঁরা বন্যার জলে ভেসেও যেতে পারতেন। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা।
এসবের মধ্যে হীরাকুঁদ বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এর জেরে মহানদীর জল ক্রমশ বাড়ছে। নদী বাঁধেও ফাটল দেখা দিয়েছে। বহু গ্রাম, চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে।
পুরী জেলাতেও একাধিক পঞ্চায়েত এলাকাতেও বন্যার জল ঢুকতে শুরু করেছে। সরকারি সূত্রে খবর, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। হীরাকুঁদ বাঁধের অন্তত আটটি স্লুইস গেটকে বন্ধ রাখা হয়েছে আপাতত।
এদিকে কেন্দ্রাপাড়া জেলায় সপ্তাহখানেক ধরে বৃষ্টি চলছে। এর জেরে করন্দিয়া নদীর জল ক্রমে বাড়ছে। মহানদীর জলে কটক জেলার একাধিক গ্রাম জলের তলায় চলে গিয়েছে। তিগিরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রামেও জল ঢুকেছে।
এদিকে কটকের মুন্দালি এলাকায় মহানদীরজল বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে।ইতিমধ্যেই দুর্গতদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একাধিক পয়েন্টে বৈতরণী নদীর জলও বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছিল। আবহাওয়াবিদ উমাশঙ্কর দাস জানিয়েছেন, পশ্চিম ওড়িশার একাধিক জায়গায় বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।