তাইওয়ান প্রসঙ্গে যেন সীমা লঙ্ঘন না করে আমেরিকা। জি২০ সম্মেলনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখোমুখি হয়ে এমনই বার্তা দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিং। যদিও দুই দেশ যাতে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে, সেই আশাও ব্যক্ত করেন জিনপিং। বাইডেনকে জিনপিং বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দুই দেশের বেশিরভাগ স্বার্থ আলাদা নয় বরং একই। এই বিশ্ব অনেক বড়। এখানে আমরা দুই দেশই একসঙ্গে অগ্রগতির পথের পথিক হতে পারি।’ জিনপিং নাকি আরও বলেন, ‘আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বর্তমান বৈশ্বিক অর্ডারে পরিবর্তন আনার কোনও অভিপ্রায় তাদের নেই।’
পারস্পরিক সম্মানের কথা উল্লেখ করে বাইডেনকে জিনপিং বলেন, ‘তাইওয়ান নিয়ে যেন আমেরিকা সীমা লঙ্ঘন না করে। তাইওয়ান ইস্যুটি চিনের স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। চিন-যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মতানৈক্যের মূলে রয়েছে তাইওয়ান। এই আবহে চিন-মার্কিন সম্পর্কের খাতিরে তাইওয়ান সংক্রান্ত লাল রেখা অতিক্রম করা উচিত হবে না যুক্তরাষ্ট্রের। তাইওয়ান ইস্যুর সমাধানের বিষয়টি চিনে একান্ত বিষয়।’
প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় একবছরেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ান ইস্যুতে দূরত্ব তৈরি হয়েছে আমেরিকা এবং চিনের। কোয়াড নিয়ে চিন যেমন আক্রমণ শানিয়েছে, তেমনই বেজিংকে চটিয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যানসি পেলোসি। এদিকে বিগত এক বছরে চিনা যুদ্ধবিমানের দ্বারা তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা লাফিয়া লাফিয়ে বেড়েছে। তাইওয়ান প্রণালীর খুব কাছেই মার্কিন নৌবহরও হাজির হয়েছে। এই সবের মাঝেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তাইওয়ান নিয়ে ফ্রন্টফুটে খেলার চেষ্টা করেছে চিন। এই আবহে বাইডেনকে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিলেও তাইওয়ান নিয়ে সরতর্ক করলেন জিনপিং। জিনপিংয়ের তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মূলে রয়েছে তাঁর আগ্রাসী সম্প্রাসরণ নীতি। এই আবহে আমেরিকাকে যে তাইওয়ান ইস্যুতে বেজিং হস্তক্ষেপ করতে দেবে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন জিনপিং।