পরপর দু'দিন ভারতের বাজারে পড়ল সোনা। সোমবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম ডিসেম্বর গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫০,৪৩৭ টাকা। একইভাবে রুপোর দামও কমেছে। এক কেজি রুপোর দর ০.৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১,২৫০ টাকা।
গত সেশনে সোনার দাম ০.৩ শতাংশ পড়েছিল। তবে রুপোর দাম ০.২ শতাংশ বেড়েছিল। সেখান থেকে সোমবার অনেকটা পড়ল রুপো। গত অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকা পৌঁছানোর পর হলুদ ধাতুর গ্রাফ আর সেই পর্যায়ে ওঠেনি।
বিশ্ব বাজারে অবশ্য সোনার দর মোটামুটি অবিচল আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আইনপ্রণেতারা আর্থিক প্যাকেজে সায় দেবেন বলে আশায় বুক বাঁধছেন লগ্নিকারীরা। তার জেরে এখনও এক আউন্স সোনার দর ১,৯০০ ডলারের উপর আছে। দামে সামান্য হেরফের হয়ে প্রতি আউন্স হলুদ ধাতুর দর ঠেকেছে ১,৯০০.২১ ডলারে। রুপোর দর ০.১ শতাংশ বেড়ে এক আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে ২৪.২ ডলার।
রবিবার মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অভ্যন্তরে মতভেদ থাকলেও নির্বাচনের আগেই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে আশাপ্রকাশ করছেন। যদিও ডেমোক্র্যাটরা স্পষ্টতই জানিয়েছেন, চোখে ধুলো দিতে সেই প্যাকেজ আনা হচ্ছে। আদতে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।
তারইমধ্যে মজবুত মার্কিন ডলারের ফলে সোনার উপর চাপ তৈরি হয়েছে। ছ'টি প্রধান প্রতিপক্ষের নিরিখে মার্কিন ডলার উঁচুতে আছে। তবে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত সোনার দাম ২৫ শতাংশ পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অভাবনীয় আর্থিক প্যাকেজের ফলে সোনার এই অবস্থা হয়েছে।