বৃহস্পতিবার ভারতীয় বাজারে পড়ল সোনার দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮,২৬৫ টাকা। যা রেকর্ড দরের (গত অগস্টে ৫৬,২০০ টাকা) থেকে প্রায় ৮,০০০ টাকা কম। গত সেশনে অবশ্য এক শতাংশ উত্থানের সাক্ষী ছিল সোনা। যা প্রায় এক মাসে সর্বোচ্চ ছিল। অন্যদিকে, রুপোর দর অবিচল আছে। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম পড়ছে ৬৯,৪৮০ টাকা।
বিশ্ব বাজারে অবশ্য সোনার দাম অবিচল আছে। এক আউন্স সোনার দাম পড়ছে ১,৮২৪.৮১ ডলার। গত সেশনে এক আউন্স হলুদ ধাতুর দর ১,৮২৯.৫৫ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। যা চার মাসের সর্বোচ্চ ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়ালের বক্তব্যের জেরে সোনার চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টিও সোনার দাম বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছিল। তবে শক্তিশালী মার্কিন ডলার এবং অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে যে আশা আছে, তারও প্রভাব পড়তে পারে সোনার উপর। জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের কমোডিটিজের রিসার্চ হেড হরিশ ভি জানান, যদি এক আউন্স সোনা ১,৮০০ ডলারে সহায়তা পেতে থাকে, তাহলে ১,৮৪৫ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে হলুদ ধাতু। তারপর তা ১,৮৮০ ডলারের দিকে যেতে পারে। তবে এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৮০ ডলারের নীচে নেমে গেলে চাপের বিষয়ে আগেভাগেই ইঙ্গিত মিলবে।
অন্যদিকে, অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে রুপো এবং হিরের দাম পড়েছে। এক আউন্স রুপোর দাম ০.৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৬.১৬ ডলার। আউন্সপ্রতি হিরের দাম ০.৫ শতাংশ কমে ১,১২৩.৮৩ ডলার হয়েছে। এক আউন্স রুপোর দাম ২৬.৮ ডলার থেকে ২৫.৪ ডলারের স্তরে ঘোরাফেরা করবে। যে সীমা পার করবে রুপো, আগামিদিনে সেদিকেই যাবে মূল্যবান ধাতুর দাম।