আব্রাহাম থমাস
এক অনাথ শিশুর ভরনপোষণ নিয়ে মাসি ও দাদুর মধ্যে আইনী লড়াই। আর তারই শুনানির সময় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। আদালত সোমবার জানিয়েছে, নাতি নাতনিদের দেখাশোনার সময় দাদু, ঠাকুমারা খুব কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠেন।
আদালত সূত্রে খবর, ৫ বছরের এক শিশু কোভিড অতিমারিতে তার বাবা ও মা দুজনকেই হারিয়েছে। এদিকে গুজরাত হাইকোর্ট সম্প্রতি রায় দিয়েছে মাসির কাছেই থাকতে পারে ওই শিশু। এনিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তার দাদু ঠাকুমা। দাদুর বয়স ৭১ বছর ও ঠাকুমার বয়স ৬৩ বছর। আর সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি এমআর শাহ ও অনিরুদ্ধ বোসের বেঞ্চ জানিয়েছে, ৭১ বছর আর ৬৩ বছরটা কিছুই নয়। যদি দাদু ঠাকুমা থাকেন তবে নাতির যত্নের জন্য তাদের শক্তি বেড়ে যায়।
এদিকে ৪৬ বছর বয়সী মাসির কাছে শিশুকে তুলে দেওয়ার যে নির্দেশ গুজরাত আদালত দিয়েছিল তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাত আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছিল দাদু ঠাকুমার বয়স হয়েছে। তাঁরা নাতির সব চাহিদা পূরণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে মাসি চাকরি করেন, একলা থাকেন, বয়স কম তিনি ঠিকঠাক সব দেখতে পারবেন।
এদিকে আবেদনকারী দাদু কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর দাবি, অতিমারির আগে তাঁরাই নাতির দেখাশোনা করতেন। এদিকে মাসির পক্ষের আইনজীবীর দাবি, ভিন জাতের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন ওই যুবক। সেকারণে ছেলের বাড়ির আপত্তি ছিল এতে। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মাসি দাহুদে থাকেন। কিন্তু দাহুদের থেকে আমেদাবাদে যেখানে দাদুরা থাকেন সেখানে পড়াশোনার ব্যবস্থা ভালো। কেন দাদুদের বঞ্চিত করা হচ্ছে?