আদিত্য নাথ ঝা
ঝড়ের বেগে গুজব ছড়িয়েছে এলাকায়। কবরের মধ্যেই নাকি রাখা রয়েছে থরে থরে মণি মানিক্য, হীরে জহরত। আর তার জেরেই ইংরেজ আমলের কবরস্থান রাতের অন্ধকারে খুঁড়ে ফেলছে কে বা কারা। বিহারের পূর্ণিয়ার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, কোনও কবর থেকেই মূল্যবান সামগ্রী পাওয়ার কোনও খবর নেই। কিন্তু তবুও অন্তত চারটি কবরস্থানে খোঁড়াখুঁড়ি চলেছে। প্রায় ২৫০টি কবরের মধ্যে অন্তত ২০০টি কবর খোঁড়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পূর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, অধ্যাপক নরেশ কুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, অন্তত ২০০জন ব্রিটিশের কবর রয়েছে এলাকায়। ডাঃ ডেভিড পিচাচি, পূর্ণিয়ার প্রথম সিভিল সার্জেনের কবরও রয়েছে এখানে। স্থানীয় গির্জার পাদ্রি ফাদার জ্যাকব এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বার বার পুলিশের কাছে এনিয়ে জানিয়েছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এদিকে ১৭৭০-১৯৪৭ পর্যন্ত যে ব্রিটিশ আধিকারিকরা পূর্ণিয়াতে পোস্টিং ছিলেন তাদের মৃত্যুর পরে কবরস্থ করা হয়েছিল পূর্ণিয়াতেই।
কিন্তু কারা রয়েছে কবর খোঁড়ার পেছনে? খাজাঞ্চি হাট থানার আধিকারিক অনিল কুমার সিং জানিয়েছেন, এনিয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ জানাননি। তবে আমরা জানার পর থেকেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আগে এনিয়ে কয়েকজন মাদকাসক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে কবরস্থানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, অনেকে ভাবে কবরের মধ্যে সোনাদানা, হিরে জহরত আছে। সেই লোভেই এসব করা হয়।