ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত সিদ্ধপুরুষ গুরমীত রাম রহিম সিং সম্প্রতি প্যারোলে থাকাকালীন একটি ‘ভার্চুয়াল সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন করেছিলেন। সেই সৎসঙ্গে যোগ দিতেই বিজেপি নেতাদের লাইন পড়ল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। জানা গিয়েছে, ৪০ দিনের প্যারোলে গত ১৪ অক্টোবর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন রাম রহিম। এই বছর মোট তিনবার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এবং ঘটনাক্রমে এই তিন দফাতেই কোনও না কোনও নির্বাচনী তোড়জোড় চলছিল।
এর আগে জুন মাসে এক মাসের প্যারোলে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন রাম রহিম। আর তার আগে ফেব্রুয়ারিতে তিন সপ্তাহের জন্য ছাড়া পেয়েছিলেন রাম রহিম। উল্লেখ্য, ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমীত রাম রহিমের উল্লখযোগ্য প্রভাব রয়েছে হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং হিমাচলপ্রদেশে। এই আবহে তাঁর প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশে বাঘপটে আয়োজিত তাঁর সৎসঙ্গে বিজেপি নেতাদের লাইন দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই।
অভিযোগ উঠছে, হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন, হরিয়ানার উপনির্বাচন এবং পঞ্চায়েত ভোটকে প্রভাবিত করতেই রাজনৈতিক স্বার্থে রাম রহিমে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে রাম রহিমের অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে। জানা গিয়েছে, রাম রহিমের সৎসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কার্নালের মেয়র রেণু বালা গুপ্তা, ডেপুটি মেয়র নবীন কুমার এবং সিনিয়র ডেপুটি মেয়র রাজেশ আগ্গি। যদিও নবীন কুমারের দাবি, এই অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তাঁর কথায়, ‘সকল দোষীরই প্যারোলের দাবি জানানোর অধইকার রয়েছে। রাম রহিম হয়ত দিওয়ালির জন্য এই প্যারোলের আবেদন করেছিলেন। এর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়ে দেখা ঠিক নয়।’